Published : Jul 29, 2020, 02:05 PM ISTUpdated : Jul 29, 2020, 08:27 PM IST
১৯১১ আইএফএ শিল্ড ফাইনাল। ইংল্যান্ডের ইস্ট ইর্য়কশায়ারের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের সেই ম্যাচ শুধু খেলা নয়, ছিল সংগ্রাম। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়েছিল শিবদাস ভাদুড়ি ও অভিলাষ ঘোষেরা। 'এগারো' সিনেমার ছবির মাধ্যমে ফিরে দেখা সেই গর্বের ইতিহাস।
২৯ জুলাই মোহনবাগানের ইতিহাসে সবথেক গর্বের দিন। ১৯১১ সালের ২৯ জুলাই ক্লাবের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছিল। ১৯১১ সালের আজকের দিনেই শিল্ড ফাইনালে ইংল্যান্ডের ইস্ট ইর্য়কশায়ারকে হারিয়ে শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান।
211
বর্তমানে প্রতিবছর ২৯শে জুলাই ক্লাব তাঁবুতে ‘মোহনবাগান দিবস’ পালিত হয়৷ ১৯১১ সালে ১১ বাঙালির শিল্ড জয়ই দেশের বাইরে গোটা বিশ্বের সঙ্গে বাগানের পরিচয় করে দিয়েছিল৷
311
খালি পায়ে ইংল্যান্ডের দল ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিল গঙ্গাপারের ক্লাব৷ গড়ের মাঠে ঐতিহাসিক ম্যাচের সাক্ষী ছিল জন সমুদ্র।
411
পরাধীন দেশে সেই সময় সাহেবদের হারিয়ে মোহনবাগানের এই শিল্ড জয়ের ঘটনা সমগ্র দেশ জুড়ে আলোড়ন তোলে।খেলার মাঠে সাহেবদের মুখোমুখি লড়াইয়ে খালি পায়েও যে হারানো সম্ভব সেটাই দেখিয়ে দেয় মোহনবাগান৷
511
আইএফএ শিল্ড শুরু হয়েছিল সেই ১৮৯৩ সালে। ১৯১১ সালে প্রথম কোনও ভারতীয় দল হিসেবে মোহনবাগান এই টুর্নামেন্ট জেতে। কাজেই বাংলা তখা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে বাগানে আই এফ এ শিল্ড জয়ের এই দিনটি গুরুত্ব অভাবনীয়।
611
১৯১১ সেই ফাইনালে প্রথম থেকেই হার না মানা মনভাব নিয়ে খেলতে নামে মোহনবাগান দল। খেলায় বাগে না আনতে পেরে মারমুখী হয়ে ওঠে ব্রিটিশ দল। তাদের কড়া ট্যাকেলে গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় একাধিক সবুজ-মেরুণ প্লেয়ার।
711
প্রথমার্ধের কিছুক্ষণ আগে গোল করে এগিয়ে য়ায় ইংল্যান্ডের ইস্ট ইর্য়কশায়ার। গোল খাওয়ায় কিছুটা ভেঙেও পড়েছিল সেদিন মাঠে উপস্থিত দর্শক থেকে প্লেয়াররা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নতুন উদ্যমে নামে গোটা দল।
গোল শোধ করার পর জয়ের জন্য ঝাঁপা মোহনবাগান। ম্যাচ শেষের দিকে এগোনোয় স্নায়ূর চাপ বাড়তে থাকে সকলের মধ্যে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে অভিলাষ ঘোষের গোলে ম্য়াচ জিতে ইতিহাস রচনা করে মোহনবাগান।
1011
সেদিন ময়দান থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত ব্রিটিশদের হারিয়ে গৌরব ফেরানো ফুটবলারদের মাথায় তুলে নিয়ে যান হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী৷ আইএফএ শিল্ড জয় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম অধ্যায় ছিল বলেই মনে করেন সকলে।
1111
ব্রিটিশদের হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় চির অমরত্ব লাভ করেছিল সেদিনের সবুজ-মেরুণের স্বপ্নের 'এগারো'। যা নিয়ে পরে তৈরি হয় 'এগার' নামক সিনেমাও। সত্যিই ১৯১১-র সেই ম্যাচ ব্রিটিশ শাসিত ভারতে শুধু খেলা ছিল না ছিল সংগ্রাম।