বারবার ছিটকে যেতে চাইতেন সংসারের চিরাচরিত ধারা থেকে। অভাব-দারিদ্র তাঁকে এতটাই নাড়া দিত যে তিনি আধ্যাত্মিক ভাবনায় নিজেকে নিমগ্ন করে দিতে চাইতেন। তাই কখনও পালিয়ে চলে আসতেন বারাণসীর ঘাটে তীর্থযাত্রীদের কলা বিক্রি করতে। আবার কখনও হাজির হতেন রামকৃষ্ণ মিশনের সন্যাসীদের ছত্রছায়া। সংসারকে বিদায় জানিয়ে শুরু করতে চাইতেন সন্ন্যাস জীবন। কিন্তু জীবন বোধহয় ইয়াল্লাপ্রজ্ঞাড়া সুব্বারাও-এর জন্য আলাদা কোনও কাহিনি লিখতে চেয়েছিল। দিতে চেয়েছিল এক ডেস্টিনি। তাই শতবাধা পেরিয়েও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ওষুধের দ্বারা চিকিৎসায় এক প্রাণপুরুষ হয়ে রয়েছেন তিনি। তাঁর ফেলে যাওয়া গবেষণায় আজ বিশ্বজুড়ে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক সব ওষুধ। এমনকী, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারেও হয়তো পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে পারে তাঁর গবেষণা। কিন্তু এহেন ভারতীয় সুব্বারাও-এর কথা ক'জন স্মরণে রেখেছেন এই সময়ে।