২ সপ্তাহেরও কম সময়ে যোগী রাজ্যে ফের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা
ধর্ষণ করে খুন যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশে। গত ১০ দিনের মধ্যে এই নিয়ে দু’টি নারী নির্যাতনের একই ধরনের ঘটনা ঘটল। ফলে যোগী রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Asianet News Bangla | Published : Aug 26, 2020 11:04 AM IST / Updated: Aug 26 2020, 04:39 PM IST
মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে দু’জন নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের লখীমপুর খেড়ী জেলায়। মঙ্গলবার ১৭ বছরের এক কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির কাছের একটি পুকুর থেকে।
নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, গত সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোয় ওই কিশোরী। বৃত্তির ফর্মপূরণের কাজে পাশের গ্রামে যাচ্ছে বলেই জানিয়েছিল সে। রাত বাড়লেও সে বাড়ি ফেরেনি বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন তার পরিজনেরা। নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পুলিশের কাছে। পুলিশ তল্লাশি চালায়।
মঙ্গলবার ওই নিখোঁজ কিশোরীর গ্রাম থেকে ২০০ মিটার দূরে লাখিমপুরের খেড়ি জেলায় একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তার খোবলানো মৃত দেহ। দেহ উদ্ধারের জায়গা থেকে তার হাতব্যাগ, মোবাইল ফোন ও রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি পুকুরে ফেলে দেওয়ায় কোনও পশু সেটি খুবলে খেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবারের ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, ১৭ বছরের ওই নাবালিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। তার ঘাড়ে কোপানোর দাগ রয়েছে। খুনের আগে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ। খেড়ীর পুলিশ অফিসার সতেন্দার কুমার সিংহ বলেছেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার সমস্ত রকম চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।’’
এই ঘটনার আগে গত ১৪ অগস্ট বিকেলে নিখোঁজ হয়ে যায় এক কিশোরী। ১৫ অগস্ট ১৩ বছরের ওই নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় এলাকারই একটি আখের খেত থেকে।
পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করা হয়েছিল তাকেও। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেসব কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলেও দাবি পুলিশের।
এদিকে এই দুই নৃশংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে যোগী প্রশাসনকে নিশানা করছে বিরোধী শিবির। রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সোমবার রাতেই উত্তরপ্রদেশে এক সাংবাদিককে গুলি করে খুন করা হয়। রাজধানী লখনউ থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফেফানায় একটি হিন্দি নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিক গুলি করে খুন করা হয়।
পুলিশের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণেই এই খুন। ঘটনার যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা সকলেই ওই সাংবাদিকের দূরসম্পর্কের আত্মীয় বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও পারিবারিকর সমস্যার জন্য খুনের দাবিকে অস্বীকার করেছে মৃতের পরিবার।
এর আগে গত জুলাই মাসেই এক সাংবাদিক হত্যা নিয়ে শোরগোল উঠেছিল উত্তর প্রদেশে। সেবার বিক্রম যোশি নামক এক স্থানীয় সাংবাদিককে গাজিয়াবাদের কাছে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ভাইঝিকে একদল দুষ্কৃতী উত্যক্ত করায় প্রতিবাদ করেছিলেন বিক্রম। তারই মাশুল গুণতে হয় তাঁকে। গাজিয়াবাদে দুই মেয়ের চোখের সামনে প্রকাশ্য রাস্তায় সাংবাদিক বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছিল দুর্বৃত্তরা। মাস পেরোতে না পেরোতেই সেই যোগীরাজ্যেই ফের খুন হলেন আরও এক সাংবাদিক।