ডিজিটাল পেমেন্টর সঙ্গে বাড়ছে প্রতারণা, দেশে ৫০০ % বৃদ্ধি সাইবার ক্রাইমের, কী পরামর্শ দিচ্ছেন ডোভাল
ডিজিটাল পেমেন্ট বেড়ে যাওয়ার ফলে আর্থিক প্রতারণাও ক্রমশঃ বাড়ছে ভারতে। এমনটাই জানালেন স্বয়ং জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তিনি বলেন সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা।
Asianet News Bangla | Published : Sep 19, 2020 11:10 AM IST / Updated: Sep 19 2020, 04:42 PM IST
মানুষ যত আধুনিক টেকনোলজি সর্বস্ব ও ইন্টারনেট নির্ভর হচ্ছে ততই বাড়ছে অপরাধ। অন্তত বর্তমান ভারত সেই চিত্রটাই তুলে ধরছে। করোনা সংক্রমণ কালে দেশে বেড়েছে ডিজিটাল পেমেন্ট। আত তাতেই ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা।
সম্প্রতি এমন ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন এনএসএ অজিচ ডোভাল। এরজন্য তিনি অবশ্য দেশবাসীর সেচতনতার অভাবকেই দায়ি করছেন। পাশাপাশা খারাপ সাইবার নিরাপত্তার কথাও বলছেন।
সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে যোগ দিয়ে অজিত ডোভাল বলেন, কেন্দ্র জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কৌশল-২০২০ নিয়ে আসছে, যার লক্ষ্য হল দেশে সুরক্ষিত, নিরাপদ, বিশ্বস্ত, নমনীয় ও প্রাণবন্ত সাইবারস্পেসের মাধ্যমে ভারতকে সমৃদ্ধ করা।
কেরল পুলিশ ও সাইবারস্পেস ও তথ্য নিরাপত্তা গবেষণা সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত তথ্য গোপনীয়তা ও হ্যাকিংয়ের ওপর এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। ডোভাল বলেন, ৩টি পিলারের উপর নির্ভর করেই ২০২০ সালের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে মানুষ ডিজিটাল পেমেন্টের উপর অনেক বেশি করে নির্ভরশীল। অনেকেই ক্যাশের বদলে অনলাইনে অর্থ আদানপ্রদান করছেন। তার তা করতে গিয়েই অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য আপলোড হচ্ছে।
এই নিয়ে ডোভাল বলেন, "আমরা যত এই ভাবে অন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হচ্ছি, অপরাধীরাও অনেক নতুন নতুন উপায়ে অসৎ কাজ করে চলেছে। আর তাতেই গত কয়েকমালে দেশে প্রায় ৫০০ শতাংশ সাইবার ক্রাইমের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। "
তাঁর মতে, মহামারির কারণে কাজের পরিবেশে আমূল বদল এসেছে। ডোভাল বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে এখন অনেকেই হাতে হাতে নগদ দেওয়ার পরিবর্তে অনলাই বা ডিজিটাল পেমেন্টের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছে এবং অনলাইনে তথ্য আদান-প্রদান ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অন থাকার বিষয়টিও বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আমরা আমাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ তথ্য অনলাইনে দিতে সক্ষম হয়েছি, অন্যদিকে প্রতারকরা এর মধ্যেই নতুন সুযোগ খুঁজে নিয়েছে।' এই প্রসঙ্গে সাধারণের মধ্যে সচেতনতার অভাব ও উপযুক্ত সাইবার সিকিউরিটি না থাকার বিষয়টিও যোগ করেন তিনি।
ডোভাল সতর্ক করেন, ‘বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর, ভুয়ো খবরের মাধ্যমে সঙ্কট পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয় দেশে। সাইবারস্পেসে থাকা বিপুল পরিমাণে সাইবার সংক্রান্ত তথ্য প্রতারকদের কাছে সোনার খাদানের মতো, যেখান থেকে তথ্য হ্যাক করে এঁরা আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে যখন তখন।'
উদাহরণ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, যখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পিএম কেয়ার্স ফান্ডের ঘোষণা করেছিলেন, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বেশ কিছু ভুয়ো আরোগ্য সেতু অ্যাপ ইন্টারনেটে চলে এসেছিল।
তাই তিনি নেট ব্যবহারকারীদের আরও সচেতন হওয়া, সাইবার হাইজিন পালন করা এবং কোনও সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে আইনি সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেন।
ডোভাল জানান, নাগরিকরা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন তখন যেন সচেতন হয়ে তা ব্যবহার করেন।