ঘূর্ণীঝড় তাউতের মাঝে পড়ে প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল তিনটি বার্জ। বার্জগুলিতে পার্য় ৫৯৯ জন ছিল। বোম্বে হাইয়ের কাছেই তৈল খনি এলাকায় অবস্থান করছিল বার্জগুলি। সোমবার দুপুরেই বার্জগুলি থেকে বিপদ সংকেত পেয়ে উদ্ধারকারে গিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। শতাধিক মানুষকে জীবিত উদ্ধার করেছে। বুধবার ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানান হয়েঠে এখনও পর্যন্ত ৯৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে আরব সাগর থেকে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল, মুম্বই উপকূলে ডুবে যাওয়া বার্জ পি৩০৫ থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পিআরও একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে দেখা যাচ্ছে আইএনএস কোটি মৃতদেহগুলি নিয়ে মুম্বই শহরের দিকে যাত্রা শুরু করেছেন।
210
আইএনএস কলকাতাও ছিল সঙ্গে। আইএনএস কলকাতায় জীবিতদের নিয়ে এসেছিল মুম্বইয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে। সোমবার আইএনএস কোচি ও আইএনএস কলকাতা বোম্বে হাই সংলগ্ন এলাকায় ঝড়ের মধ্যে পড়া বার্জ গুলি থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করেছিল।
310
ডিফেন্সের পিআরও জানিয়েছেন নোভাল জাহাজ তেগ, বেতওয়া, বিয়াসের সঙ্গে এই অভিযানে সামিল হয়েছিল পি৮ আই বিমান, সি-কিং হেলিকপ্টার ও। এখনও পর্যন্ত আরব সাগরে তল্লাসি অভিযান চালান হচ্ছে। আকাশ পথে টহল দিচ্ছে হেলিকপ্টার।
410
সোমবার ঘুর্ণী ঝড়ের কবলে পড়ে তিনটি বার্জ। ওএনডিসির তিনটি বার্জ মোতায়েন করা হয়েছিল। বার্জগুলিতে ৫৯৯ জন যাত্রী ছিল। যাঁরা মূলত ওএনজিসির হয়ে কাজ করত। বার্জগুলি মূলত মুম্বইয়ের ৩৫ নটিক্যাল মাইল দুরে অবস্থান করছিল।
510
ডুয়ে যাওয়ার বার্জ পি ৩০৫ এ ২৬১ জন যাত্রী ছিল। সাপোর্ট স্টেশন ৩ তে ২০১ জন যাত্রী ছিল। এটি অবস্থান করছিল বোম্বে হাই সংলগ্ন এলাকায়।
610
ভারতীয় নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ১৩৭ জন গাল কনস্ট্রাক্টর ছিল। যাঁরা ঝড়ের সময় তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করেছিল। তাদের সকলকে উদ্ধার করা গেছে বলেও জানান হয়েছে।
710
ওএনজিসির তেল ড্রিলিং জাহাজ সাগর ভূষণে ছিল ১০১ জন। যাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ঝড়ের সময় নোঙর হারিয়ে তাঁজের জাহাজ উত্তর দিকে যেতে শুরু করেছিল।
810
নৌবাহিনী রীতিমত সাহসী অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত ১৮৫ জানকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বেঁচে যাওয়ার আরও মানুষকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। কোস্টগার্ড ও ওএনজিসির-র সাহায্যে ওয়েস্টার্ন নেভাল কমান্ডের অপারেশন কমান্ডার পুরো প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
910
নৌবাহিনী পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঝড়ের গতি ছিল মুম্বইয়ের ছিক পশ্চিম দিকে। কিন্তু তাসত্ত্বেও খবর পেয়েই তাঁরা রওনা দিয়ছিলেন অন্য কিছু চিন্তা না করে। ঝড়ের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালান রীতিমত চ্যালেঞ্জিং ছিল। আর তা গ্রহণ করেছিল নৌ বাহিনীর সদস্যরা।
1010
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বেশ কয়েক দশক পরে আরব সাগরে এমন শক্তিশালী ঘূর্ণী ঝড় তৈরি হয়েছিল। যা সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আছড়ে পড়ে দিউ ও গুজরাট উপকূলের মধ্যে। ঝড়ের কারণেই এখনও পর্যন্ত গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটাকে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। উপড়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি। মুম্বই ও আমেদাবাদের মত বড় শহরগুলিএ বিপর্যস্ত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন।