গোয়াকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করেছিল এই যুদ্ধবিমান, চিনুন দেশের গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রেনের প্রথম সদস্যকে

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় বিমান বাহিনীর 'গোল্ডেন অ্যারো' স্কোয়াড্রোনে যোগদান করতে চলেছে ফ্রান্স থেকে আসা ৫টি রাফাল যুদ্ধিবমান। ভারতীয় বিমান বিহানীর ইতিবাসে এই 'গোল্ডেন অ্যারো' ভূমিকা বিশাল। ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রাক্তন  এয়ার চিফ মার্শাল বীরেন্দ্র সিং ধনোয়া ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯-এ হরিয়ানার আম্বালা এয়ারবেসে এক নম্বর 'গোল্ডেন অ্যারো' স্কোয়াড্রনকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। পুনরুত্থানের পরে গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সক্রিয় কমান্ডে রাখা হয়েছে। ১৯৫১ সালের ১লা অক্টোবর হার্ভার্ড আইআইবি প্রশিক্ষক বিমান নিয়ে 'গোল্ডেন অ্যারো' উত্থাপিত হয়। এর অন্যতম বিমান ছিল ডি হাভিল্যান্ড ভ্যাম্পায়ার। পর্তুগিজদের থেকে গোয়াকে মুক্ত করতে  বিরাট ভূমিকা পালন করেছিল ভারতের হাতে থাকা এই বিধ্বংসী যুদ্ধবিমানটি।

Asianet News Bangla | Published : Aug 31, 2020 8:57 AM IST / Updated: Aug 31 2020, 02:37 PM IST

19
গোয়াকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করেছিল এই যুদ্ধবিমান, চিনুন দেশের গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রেনের  প্রথম সদস্যকে

ভারতের কাছে এমন কিছু যুদ্ধবিমান ছিল যা শুধু পাকিস্তান বা চিনের বিরুদ্ধে নয় স্বাধীনতার পর ভারতের একাধিক রাজ্যকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে কাজে লেগেছিল। 

29

এর মধ্যে নাম করতে হবে  ডি হাভিল্যান্ড ভ্যাম্পায়ারের। ভারতের কাছে থাকা অন্যতম সেরা বিমান ছিল এটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে যুদ্ধবিমানটির ডেভেলপমেন্টের কাজ শুরু হয়। অর্থাত্‍ ১৯৪১ সালের দিকে শুরু হয়। তবে ১৯৪৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবার আকাশে উড়তে দেখা যায়। ১৯৪৬ সালে সার্ভিসে আসে যুদ্ধবিমানটি।

39

ইংল্যান্ডের তৈরি এটি একটি ফাইটার বম্বার। রয়্যাল এয়ারফোর্স এবং রয়্যাল নেভিতে দেখা গিয়েছিল যুদ্ধবিমানটিকে। বিশেষত রাত এবং দিনে সমানভাবে আক্রমন করতে পারত যুদ্ধবিমানটি।

49

১৯৪৯ সালে জানুয়ারি মাসে ভারতের কাছ আসে দুটি স্কোয়াড্রন ১৭ এবং ৩৭ নম্বর। এরপর ৫৪ নম্বর স্কোয়াড্রনটি আসার পর রাতের বেলাতেও আক্রমণ করতে পারত যুদ্ধবিমানটি।

59

১৯৬১ সালে পর্তুগিজদের থেকে গোয়াকে মুক্ত করতে এক বিরাট ভূমিকা পালন করে যুদ্ধবিমানটি। রাতের দিকে যুদ্ধবিমানটি কাজ করতে পারত তার   অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ফায়ারিং এর জন্য।
 

69

১৯৬৫ সালে এর ৪৫ নম্বর স্কোয়াড্রনটি ইন্দো-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাউন্টার আট্যাকের ভুমিকা গ্রহন করেছিল। ১২ টি এই বিমান সেইসময় পাকিস্তানকে রীতিমত শঙ্কায় ফেলে। শুধু তাই নয় পাকিস্তানের তরফে আমেরিকার থেকে ক্রয় করা সেইসময়কার আধুনিক যুদ্ধবিমানকে আকাশ থেকে আকাশ পথে হামলা চালায় এটি ও  ২ টি এফ ৮৬ যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করে।
 

79

১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ভারতীয় বিমানবাহিনীতে মোট ২৮৬ টি যুদ্ধবিমান ছিল। ভারতীয় সেনাকে ২০ বছর সার্ভিস দিয়ে এসেছে ইংল্যান্ডের এই যুদ্ধবিমানটি। ১৯৭৯ সালে শেষবার আকাশে উড়তে দেখাযায় যুদ্ধবিমানটিকে। 

89

আফ্রিকার রোডেশিয়ান এয়ারফোর্স শেষবার দেখা যায় এটিকে। ভারত ছাড়াও কানাডা, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ডের মতো প্রায় ৪০ টি দেশের কাছে ছিল যুদ্ধবিমানটি।

99

১ জন পাইলটকে নিয়ে প্রায় ২০০০ কেজির বোম্ব বহন করতে পারত এই যুদ্ধ বিমানটি। ৮৮২ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে প্রায় ২০০০ কিমি পর্যন্ত উড্ডয়ন করতে পারত ডি হাভিল্যান্ড ভ্যাম্পায়ার । প্রায় ৪৩০০০ ফুট থেকে আক্রমণ চালাতে সক্ষম ছিল যুদ্ধবিমানটি। ৪ টি গান, ৮ টি রকেট এবং ২ টি বম্বিং পয়েন্ট ছিল যুদ্ধবিমানটির।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos