প্রতিদিন রেকর্ড করে বাড়ছে ভারতে করোনা সংক্রমণ। বিশ্বের করোনা তালিকায় ব্রাজিলকে হারিয়ে দ্রুত ২ নম্বরে উঠে আসতে চলেছে ভারত। আর এই পরিস্থিতিতেই আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
Asianet News Bangla | Published : Aug 31, 2020 4:17 AM IST / Updated: Aug 31 2020, 11:39 AM IST
করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সবরকমের ব্যবস্থাই নিচ্ছে সরকার ও প্রশাসন। তা সত্বেও প্রত্যেকদিন আক্রান্তের সংখ্যা কপাল চিন্তায় ভাজ আরও গাঢ় করে তুলছে আমজনতার।
তবে এবার আশার কথা শোনালেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তিনি বলেন, ‘আশা করি আগামি ২ মাসের মধ্যে, অন্তত দিওয়ালির আগে উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে সংক্রমণ।’
অনন্তকুমার ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার সিরিজের উদ্বোধনে অংশ নিয়ে একথা বলেন হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. দেবীপ্রসাদ শেট্টি ও ড. সিএন মঞ্জনাথ এই বিষয়ে একমত হবেন যে, এই ভাইরাসও একসময় অন্যান্য মহামারীর মত স্তিমিত হয়ে যাবে।
কিন্তু তিনি এও বলেন, এই ভাইরাস আমাদের অনেক শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে। আমাদের নতুন জীবনে অভ্যস্ত হতে হবে ও নিজেদের জীবনযাত্রার ব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভ্যাকসিনেরনের দৌঁড়ে ভারত পিছিয়ে নেই। দেশে ৭ থেকে ৮ টি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। তিনটি ক্ষেত্রে চলছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। বাকিদের প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। চলতি বছরের শেষে ভ্যাকসিন মিলবে বলে ফের একবার আশ্বাসবাণী দেন হর্ষ বর্ধন।
দৈনিক সংক্রমণে এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের বাকি দেশগুলিকে পিছনে ফেলে নজির তৈরি করলেও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন যে রিপোর্ট দিচ্ছেন, তাতে কোভিড ভাইরাস নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন না-হওয়ারই কথা। হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, ভারতে করোনা রোগীর মাত্র ০.২৯ শতাংশ বর্তমানে ভেন্টিলেটরে আছেন।
যার অর্থ, কোভিডের সেই প্রাণঘাতী রূপ এখন অনেকটাই স্তিমিত। এই স্বস্তিতে কেন্দ্র যে করোনা নিয়ন্ত্রণের রাশ হালকা করছে, তেমন কোনও ইঙ্গিত নেই। বরং দৈনিক কোভিড টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্র প্রথম থেকেই টেস্টের উপর জোর দিয়ে এসেছে। তার কারণ, রাজ্যগুলিতে টেস্টের হার বাড়লে, করোনা পজিটিভদের দ্রুত চিহ্নিত করে, সেইমতো চিকিত্সার ব্যবস্থা করা যাবে। তাতে মৃত্যুর হার কমে আসবে। কেন্দ্রের এই কৌশলে যে কাজ দিয়েছে, তা কোভিডে জাতীয় মৃত্যুহারই বলে দেয়। মৃত্যুহার ২ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়েছে দেশের ২.৮৮ শতাংশ রোগীকে। আইসিইউতে আছেন ১.৯৩ শতাংশ রোগী।