মহারাষ্ট্র সহ ৫ রাজ্যে পৌঁছে গেল করোনার ওষুধ 'কোভিফোর', পরবর্তী পর্যায়ে আসছে কলকাতায়

করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে ভারতে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ছে। দেশে এবার মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৫ লক্ষের দোড়গোড়ায়। চিন্তার ভাজ ক্রমেই চেপে বসছে প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ সকলকেই। কারণ বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা রাত-দিন চেষ্টা করে গেলেও  করোনাভাইরাস সংক্রমণের এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণিত চিকিৎসাপদ্ধতি বেরোয়নি। তবে করোনা আক্রান্তদের উপর রেমডেসিভির প্রয়োগের সুফল মিলেছে।  তাই রেমডেসিভিরকে প্রাথমিক ভাবে কোভিড ১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। আর সেই অনুমতি মিলতেই ইতিমধ্যে বাজারে চলে এসেছে রেমডেসিভিরের ভারতীয় ওষুধ কোভিফোর। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে ওষুধ পৌঁছে গিয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি সহ ৫টি রাজ্যে। পরবর্তী পর্যায়ে এই ওষুধ আসতে চলেছে বাংলাতেও।
 

Asianet News Bangla | Published : Jun 26, 2020 11:40 AM IST / Updated: Jun 26 2020, 05:11 PM IST
111
মহারাষ্ট্র সহ ৫ রাজ্যে পৌঁছে গেল  করোনার ওষুধ 'কোভিফোর', পরবর্তী পর্যায়ে আসছে কলকাতায়


রেমডিসিভিরকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হয়েছে। চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়া মেলায় গুরুতর আক্রান্তদের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করার অনুমতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি, এই ওষুধের পূর্ণ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জাপান সরকারও।

211

ভারতীয় বাজারে  কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় গিলিড সায়েন্সের তৈরি অ্য়ান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভিরের জেনেরিক ভার্সান বিক্রি করার অনুমতি পেয়েছে সিপলা ও হেটেরো ল্যাব।

311

যদিও, শুধুমাত্র সংকটজনক করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। রেমডিসিভিরের জেনেরিক ভার্সনের নাম সিপলা যেমন দিয়েছে সিপরেমি, তেমনি হায়দরাবাদের কোম্পানি হেটেরো ল্যাবস লিমিটেড তৈরি ওষুধটির নাম হচ্ছে কোভিফোর।

411

প্রথম পর্যায়ে কোভিফরের ২০ হাজার শিশি মহারাষ্ট্র, দিল্লি ছাড়াও পাঠানো হয়েছে গুজরাত, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানায়।

511

পরের ব্যাচের ওষুধ পাঠানো হবে কলকাতা, ইন্দোর, ভোপাল, লখনউ, পটনা, ভুবনেশ্বর, রাঁচি, বিজয়ওয়াড়া, কোচি, ত্রিবান্দ্রাম ও গোয়ার মতো ১১টি শহর।

611

হেটেরোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ওষুধটির ১০০ মিলিগ্রামের শিশি বানানো হয়েছে। যার দাম পড়বে ৫ হাজার ৪০০ টাকা।

711

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, শিশু ও প্রবীণ কোভিড রোগীদের জন্য প্রথম দিন ওই ওষুধ ২০০ মিলিগ্রাম করে খাওয়াতে হবে। তার মানে, দুই শিশি। তার পর দ্বিতীয় দিন থেকে টানা পাঁচ দিন ধরে রোজ ১০০ মিলিগ্রাম (একটি শিশি) করে ওষুধ খাওয়াতে হবে রোগীদের। এই নিয়ম শিশু ও প্রবীণ দু’ধরনের কোভিড রোগীর ক্ষেত্রই প্রযোজ্য।

811

ফলে, মোট ৬ দিনে রোগীদের কোভিফর খাওয়াতে হবে মোট ৭০০ মিলিগ্রাম করে। ৬ দিনে ওষুধ বাবদ খরচ পড়বে ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা।

911

হেটেরো ল্যাবের ডিরেক্টর ভামসি কৃষ্ণ বান্দি জানিয়েছেন, ওষুধটি শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল ও সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেই পাওয়া যাবে। কোনও রিটেল স্টোরের মাধ্যমে তা বিক্রি করা হবে না।

1011

আগামী তিন সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে কোভিফরের ১ লক্ষ শিশি উৎপাদন ও বাজারে আনতে চাইছে হেটেরো। 

1111


এখন প্রাথমিক ভাবে হায়দারবাদে বানানো হলেও ভবিষ্যতে কোভিফরের ঢালাও উৎপাদন বিশাখাপত্তনম থেকে হবে বলে জানিয়েছে হেটেরো ল্যাব।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos