বিতর্কিত ৫টি এনকাউন্টার, যেখানে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে

উত্তর প্রদেশের ত্রাস বিকাশ দুবে এদিন সকালে পুলিশের গাড়ি থেকে পালাতে গিয়েছিল।  পুলিশের অস্ত্র চুরি করেছিল বলেও অভিযোগ। তারকপরই পুলিশের গুলিতে নিহত হয় গ্যাংস্টার। আর এই ঘটনা নিয়ে আবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। উত্তাল হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেরই দাবি করেছেন যাথাযথ শাস্তি পেয়েছে গ্যাংস্টার। অনেকেই আবার বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখার কথা বলেছে। তবে সবমিলিয়ে আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে এনকাউন্টার। তবে শুধু বিকাশ দুবে নয়। এই দেশে আরও কতগুলি এনকাউন্টারে ঘটনা ঘটেছে। যেখানে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশকে। প্রথমেই আসে ইসারত জাহান ও সোহরাবউদ্দিন এনকাউন্ট। হায়দরাবাদ এনকাউন্টারও উল্লেখযোগ্য । 

Asianet News Bangla | Published : Jul 10, 2020 2:51 PM IST
16
বিতর্কিত ৫টি এনকাউন্টার, যেখানে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে

 বিকাশ দুবে এনকাউন্টার

৮ পুলিশ কর্মীর হত্যাকারী বিকাশ দুবে। বেশ কয়েক দিন ধরেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাচ্ছিল। তবে বিকাশকে পাকড়াও করা থেকে শুরু করে এনকাউন্টার -- প্রতিটি বিষয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশকে। গুলি বিদ্ধ হয়ে বিকাশ দুবের মৃত্যু নিয়ে রীতিমত আসরে নেমে পড়েছে বিরোধীরা।  বিকাশ দুবের এনকাউন্টারই প্রথম নয়।  যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আমরা চোখ রাখব এই দেশের আরও পাঁচটা বিকর্তিক এনকাউন্টারে। 

26

ইসারত জাহান এনকাউন্টার

২০০৪ সালে ১৯ বছরের ইসারত জাহানকে সুদূর গুজরাত থেকে মুম্বইতে এসে হত্যা করেছিল পুলিশ। গুজরাত পুলিশের দাবি ছিল ইসারত জাহান একজন সন্ত্রাসবাদী। নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তাঁকে হত্যার ছক কষে ছিল বলেও অভিযোগ গুজরাত পুলিশের। যদিও বিরোধীরা এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল মামলা গড়িয়ে ছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল মানবাধিকার কর্মীরা। 

36

সোহরাবউদ্দিন শেখ এনকাউন্টা

এই এনকাউন্টারের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে গুজরাত পুলিশের নাম। ২০০৫ সালে গুজরাত পুলিশ হত্যা করা সোহরাবউদ্দিন শেখ আর তার স্ত্রী কৌসর বিকে। সোহরাবউদ্দিন লস্কর ই তৈবার মডিউলের অংশ ছিল বলে দাবি পুলিশের। এই এনকাউন্টারে নাম জড়িয়েছিল তৎকালীন গুজরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর। পরে অবশ্য আদালত তাঁকে অব্যাহতি দেয়।  ২০১৮ সালে প্রমাণের অভাবে ২২ অভিযুক্তকেও মুক্তি দেয় সিবিআই বিশেষ আদালত। 

46

লখন ভাইয়া এনকাউন্টার


২০০৬ সালে মুম্বই পুলিশের গুলিতে নিহত হয় রামনারায়ণ গুপ্ত ওরফে লখন ভাইয়া। লখন ভাইয়া ছোটা রাজনের গ্যাং-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল। মৃতের পরিবার তদন্তের দাবি নিয়ে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু অনুসন্ধান করে দেখা যায় লখন ভাইয়াকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। নভি মুম্বই থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছিল লখন ভাইয়াকে। ২০১২ সালে ২১ জন পুলিশ কর্মীর মধ্যে ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। 

56

ওয়াররাঙ্গেল অনকাউন্টার 

২০০৮ সালে অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশের হাতে নিহত হয় তিন জন। আর এই এনকাউন্টরে পুলিশের পক্ষেই সমর্থন জানিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিহত ব্যক্তিরা স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর অ্যাসিড ছুঁড়েছিল। 

66

 হায়দরাবাদ এনকাউন্টার

গত বছর নভেম্বরে হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল স্থানীয় পুলিশকে। এক ভেটেরিনারি চিকিৎসকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ ছিল দুই জনের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার দেহও পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।  এই ঘটনার প্রতিবাদে যখন গোটা দেশে ক্ষেপে উঠেছিল তখন ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পাওয়া গিয়েছিল পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া দুই অভিযুক্তর দেহ। পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। দাবি করে পুলিশ। তারপরই পাল্টা গুলি চালায় পুলিশকর্মীরা। 
 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos