'ফিঙ্গার ফোর' কার দখলে, পাহাড় চূড়ায় পরস্পরের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে দুই দেশের বাহিনী

লাদাখে প্রবল সংঘাতের আবহে ক্রমাগত চিন ও ভারত দুই শিবিরের মধ্যে পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। চিনের লিবারেশন আর্মি ২৯-৩০ আগস্ট পিছু হঠতে শুরু করলেও এখনও লাদাখ ঘিরে তাদের রণহুঙ্কার কমেনি। এরমধ্যেই ভারতীয় সেনারা এখন ফিঙ্গার-৪ এ আধিপত্য বিস্তার করেছে। যা প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীরে অবস্থিত। ফলে এখন দুসেনার মধ্যে "আইবল-টু-আইবল কন্টাক্ট" রয়েছে।

Asianet News Bangla | Published : Sep 10, 2020 4:50 AM IST / Updated: Sep 10 2020, 11:47 AM IST
110
'ফিঙ্গার ফোর' কার দখলে, পাহাড় চূড়ায় পরস্পরের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে দুই দেশের বাহিনী

 কয়েকদিন আগেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উস্কানিমূলক কার্যকলাপ করেছিল চিনা সেনা। তারপরে সীমান্তে মিলেছে গুলির আওয়াজ। সব মিলিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর স্বীকার করে নিয়েছেন লাদাখের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। এমনকী নিজেই জানিয়েছিলেন, ১৯৬২সালের পর সীমান্তের অবস্থা সবচেয়ে গুরুতর।

210

আর এই আবহেই মস্কোয় বৃহস্পতিবার  মুখোমুখি হচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই।  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় তৈরি হওয়া উত্তেজনা এই বৈঠক কিছুটা প্রশমিত করতে পারে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে সব পক্ষ। 
 

310

লাদাখে প্যাংগং সীমান্তে ২৯-৩০ অগাস্টের রাতে চিনকে পিছু হঠিয়ে ৩১ অগাস্টের রাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চূড়ায় দখল নেয় ভারত। এরপর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই প্যাংগংয়ের উত্তরপ্রান্তেও উঁচু এলাকায় দাপট বাড়িয়ে নিয়েছে ভারতীয় সেনা।

410

তবে লাদাখ যুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক এলাকা হল ফিঙ্গার ৪। চিনা সেনা সেই ফিঙ্গার ফোরের এক্কেবারে উঁচু প্রান্তে দখল নিয়ে বসে রয়েছে। যার হাত ধরে ক্রমাগত লালফৌজ এলাকায় ক্ষমতা ও শক্তি প্রদর্শন করার সুযোগ পাচ্ছে।

510

ভারতীয় সেনারা এখন ফিঙ্গার-৪ এ আধিপত্য বিস্তার করেছে। চিন সীমান্ত লাগোয়া প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ফোর পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় সেনা। বর্তমানে, এখন দুসেনার মধ্যে "আইবল-টু-আইবল কন্টাক্ট" রয়েছে। অর্থাৎ, একে অপরের একেবারে সামনাসামনি, পরস্পরের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফিঙ্গার-৪ এ দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে দূরত্ব মাত্র কয়েকশো মিটারের। 
 

610

সূত্রের খবর, প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে যে চার পাহাড়ের চূড়া চিনা-কব্জামুক্ত করে পুনর্দখল করেছে ভারতীয় সেনা -- সেই গুরঙ্গ হিল, মগর হিল, মুখপরি ও রেচিং লা-য় নিজেদের ছাউনির চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ সম্পন্ন  করেছে সেনা। চিনকে একইসঙ্গে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে, যদি চিনা সেনা কোনও অবস্থায় এই কাঁটাতার পার করার চেষ্টা করে, তাহলে, তাঁদের সঙ্গে পেশাদার সেনার মতো জবাব দেওয়া হবে।
 

710

মূলত, পূর্ব লাদাখে স্প্যানগার গ্যাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। জানা গিয়েছে, ধীরে ধীরে এমন কিছু চূড়াতে ভারতীয় সেনা দখল করেছে , যেখান থেকে মলডো গ্যারিসন স্প্যানগারের মতো এলকায় দাপট দেখানো যাবে। 
 

810

লাদাখের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রেচিন লা। সেখানেও ভারত দাপট ধরে রেখেছে। এদিকে, ব্ল্যাকটপ ও হ্যালমেট এলাকা ঘিরে ক্রমাগত চিন শক্তি বাড়াচ্ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশ বরাবর এই এলাকাগুলিতে চিনের দাপটকে যোগ্য জবাব দিতে ভারতও প্রস্তুত রয়েছে।

910

 পূর্ব লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রায় ৫০ হাজার বাহিনী মোতায়েন করেছে চিন। 'মিরর ডিপ্লোম্যাসি' মোতাবেক ভারতও সেখানে প্রায় সম-পরিমাণ বাহিনী মোতায়েন করেছে। দক্ষিণ প্যাংগংয়ে ৫ থেকে ৭ হাজার লালফৌজ মোতায়েন রয়েছে।

1010

সীমান্ত সমস্যা মেটাতে দুপক্ষের সেনা ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ের একাধিক বৈঠক হওয়া সত্ত্বেও কোনও সুষ্ঠু মীমাংসা বের হয়নি। যে কারণে, শীঘ্রই কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হওয়ার কথা। 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos