গ্রাম থেকে শহর আর শহর থেকে বিদেশে যাওয়ার অনেক গল্প আমরা শুনেছি। আজ আমরা এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিত হব যিনি একেবারে স্রোতের বিপরীতে হেঁটেছেন। যিনি বিদেশে এক লক্ষ ডলারের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে এসেছেন মাটির টানে। শুরু করেছেন কৃষিকাজ। এমন আশ্চর্য করা ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকরে কালবুর্গিতে।
কর্ণাটকরে কালবুর্গির বাসিন্দা সতীশ কুমার কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক করেছিলেন। সেখান থেকে আমেরিকার লসঅ্যাঞ্জিলাসে ভাল বেতনের চাকরিতে যোগদান।
26
কিছু বছর কাজও করেন সেখানে। কিন্তু তারপর আর বিদেশের মাটিতে মন ভাল লাগছিল না। ফিরে আসেন নিজের বাড়িতে।
36
সতীশ কুমার জানিয়েছেন, "ইউএসএ-তে আমি একটি বোরিং জব করছিলাম।" কিছুতেই সেখানে আর ভাল লাগছিল না। ব্যক্তিগত জীবনেও তার প্রভাব পড়ছিল। সেই কারণে ২ বছর আগেই নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। সেখানেই শুরু করেন নিজের কৃষিকাজ।
46
সতীশ জানান, গত মাসেই তিনি ২ একড় জমিতে অর্গানিক চাষাবাদ করে আড়াই লক্ষ টাকার ফসল বিক্রি করেছেন। এই কাজ করে তিনি মনের দিক থেকে তৃপ্ত।
56
সতীশ আরও জানান, তিনি আমেরিকা ও দুবাইতে কাজ করেছেন । আমেরিকাতে তাঁর বেতন ছিল বছরে এক মিলিয়ন ডলার, তবে সেখানে কাজে আনন্দ ছিলনা। সেই সুখ তিনি পেয়েছেন গ্রামের ফসলের মাঝে।
66
সতীশ জানান, প্রথমে তিনি কালবুর্গি থেকে ৩০-৩৫ কিলোমিটর দূরে এক একড় জমিতে কৃষিকাজ শুরু করেছিলেন। গোটা জমিকে ৩৫টি ছোট ছোট টুকরোয় ভাগ করেছিলেন তিনি। সেখানেই বুনেছিলেন বিভিন্ন ধরণের শাকসব্জি। লক্ষ ডলারের চাকরি ছেড়ে এখন বছরে ৫০ থএকে ৬০ হাজার টাকা রোজগার করেনি এই টেকি।