অনলাইন ক্লাস নিয়ে উদ্বেগ কমিটির রিপোর্ট কার্ডে, মহামারির আবহে কী ভাবে চলবে পড়াশুনা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বর্তমানে ভারতে বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। প্রয়োজনে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাসের ওপরে জোর দিচ্ছে। কিন্তু কেমন হচ্ছে সেই অনলাইক ক্লাস? আনলাইন ক্লাসের সীমাবদ্ধতাই কতটা? -- তা জানতেই শিক্ষা মন্ত্রক এনসিআইআরটিকে একটি একটি সমীক্ষা পরিচালনা করার দায়িত্ব দিয়েছিল। তার রিপোর্ট নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগ রয়েছে। কারণ সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে আনলাইনে ক্লাস হয়েই তার মান খুব একটা উপযুক্ত নয়। বেশ কিছু জায়গায় পরিকাঠামগত বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে পড়ুয়াদের। তবে মহামারীর এই আবহে অনলাইনক্লাসকে রীতিমত সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। 
 

Asianet News Bangla | Published : Aug 21, 2020 9:12 AM IST / Updated: Aug 23 2020, 11:45 AM IST

110
অনলাইন ক্লাস নিয়ে উদ্বেগ কমিটির  রিপোর্ট কার্ডে, মহামারির আবহে কী ভাবে চলবে পড়াশুনা

বুধবার শিক্ষা মন্ত্রক শিক্ষার্থীদের জন্য লার্নিং এনহান্সমেন্ট গাইডলাইইনস প্রকাশ করেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশের স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে। তাই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে শিক্ষামন্ত্রক। 
 

210

শিক্ষা মন্ত্রকের তৈরি এনসিইআরটির কমিটি অননাইল ক্লাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ কমিটির সদস্যরা অনলাইন শিক্ষা গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিজিটাল পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস না থাকা শিশুদের বিষয়ে উদ্বেদ প্রকাশ করেছে। 
 

310

কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ পড়ুয়াই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। ২০-৩০ শতাংশ পডুয়া জানিয়েছেন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা না থাকায় তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। আর ১০-২০ শতাংশ পড়ুয়ার কাছে অনলাইন ক্লাস একটি বোঝা ছাড়া আর কিছুই নয়। 
 

410

সমীক্ষা অনুসারে অনলাইন ক্লাসের মূল সমস্যাগুলি হল দুর্বল ইন্টারনেট বা দুর্বল নেটওয়ার্ক। মোবাইল ফোন ব্যবহার করাও বেশ কয়েকটি এলায় সমস্যার বলেও জানান গেছে। 

510

ডিভাইস ব্যবহার করতে সাবলীল নন অনেক শিক্ষার্থী। পাশাপাশি একই সমস্যা রয়েছে শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও। 
 

610

পড়ুয়াদের অভিযোগ তাঁদের কাছে পাঠ্যপুস্তক নেই। যদিও এনসিইআপটির ওয়েব সাইটেই পাওয়া যায় বই কিন্তু ডিজিটাল বই বা ইবুক ব্যবহারে  অনভ্যস্ত পডুয়ারা।  অনলাইন ক্লাসের প্রতি শিক্ষক ও পডুয়া উভয় পক্ষই অনাগ্রহী। 

710

রিপোর্টে বলা হয়েছে অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে একটি বড় অন্তরায় হল বিদ্যুৎ পরিষেবা। ২৭ শতাংশই দাবি করেছেন হঠাৎ হঠাৎ কারেন্ট না থাকায় ব্যাহত হয় অনলাইন ক্লাস। 

810

রিপোর্টে বলা হয়েছে গড়ে ২৭ শতাংশ পড়ুয়ার কাছে ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোন নেই। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন লকডাউনের কারণে। 
 

910

 তবে এই সমীক্ষায় দেখা গেছে  ৬০-৭০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, অভিভাবক ও স্কুলই মহামারি চলার সময় অনলাইন ক্লাসকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেই বর্ণনা করেছেন। 

1010

অনলাইনের ক্লাসের জন্য পড়ুয়াদের প্রথম পছন্দই হল মোবাইল ফোন। আর শিক্ষকদের কাছে রীতিমত জনপ্রিয় হয়েছে ল্যাপটপ। শিক্ষার মাধ্যাম হিসেবে রেডিও ও টিভি সবথেকে কম ব্যবহৃত ডিভাইস ছিল বলেই জানান হয়েছে রিপোর্টে। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos