১-২ জন করোনা আক্রান্ত হলেই অফিস বন্ধ করতে হবে না, আর কী বলছে কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা

দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে। এরমধ্যে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে দেশে চতুর্থ দফার লকডাউন। গত প্রায় দুমাস ধরে লকডাউন চলায় বন্ধ ছিল দেশের অধিকাংশ অফিস-কাছারি। তবে চতুর্থদফার লকডাউনে বেশকিছু নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কর্মক্ষেত্রের জন্য নতুন গাইড লাইন প্রকাশ করল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
 

Asianet News Bangla | Published : May 19, 2020 11:54 AM IST
110
১-২ জন করোনা আক্রান্ত হলেই  অফিস বন্ধ করতে  হবে না, আর কী বলছে কেন্দ্রের  নতুন নির্দেশিকা

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই কর্মক্ষেত্রগুলি চালানোর জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরামর্শ দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যেমন, কর্মক্ষেত্রে সর্বদা এক মিটার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি, বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার।

210

ঘনঘন স্যানিটাইজার বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যেস করার কথাও জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায়। 

310

সাধারণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি অফিসের প্রতিটি কর্মচারীকেই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। হাঁচি কাশির সময় ব্যবহৃত রুমাল, টিস্যুগুলি যথাস্থানে ফেলার অভ্যেস করতে হবে।

410

 জ্বর, অসুস্থতায় ভুগছেন এমন কোনো ব্যক্তিকে অফিসে না আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে পারবেন।

510

কোনো কর্মচারী যদি রেডজোন বা কনটেন্টমেন্ট জোনের বাসিন্দা হন, তবে তাঁর জন্য রয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বিশেষ সুবিধা। এছাড়াও, দুর্বল স্বাস্থ্যের ব্যক্তিরা এখনই যাতে কর্মক্ষেত্রে না আসেন, সেই বিষয়েও জারি রয়েছে কড়া নির্দেশিকা।

610

নয়া গাইড লাইন বলছে, যদি কোনও অফিসের ১ থেকে ২ জন কর্মী করোনাভাইরাস পজিটিভ হন, তাহলে গোটা অফিসে তালা ঝোলানোর কোনও প্রয়োজন নেই।

710

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইড লাইন অনুসারে, কর্মক্ষেত্রে কোনও কর্মীর শরীরে করোনার উপসর্গ মিললে তাঁকে তৎক্ষণাৎ কাজের জায়গার মধ্যে কোনও ঘরে আইসোলেশনে রাখা হবে। যতক্ষণ না চিকিৎসক এসে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কোনওরকম বিধান দিচ্ছেন, ততক্ষণ ওই কর্মীকে মাস্ক পরিয়ে রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে জানাতে হবে। 

810


অফিসে করোনা আক্রান্ত কর্মীর সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককেই ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যাঁরা আক্রান্তর থেকে বেশ কানিকটা দূরত্বে ছিলেন, তাঁদের কোয়ারেন্টাইন যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে আগামী ১৪ দিন নিয়ম করে তাঁদের সুস্থতার দিকে নজর রাখতে হবে

910

তবে অফিসে যদি  দু -একজনের শরীরে মারণ ভাইরাস মেলে তবে আক্রান্তরা গত ৪৮ ঘণ্টায় যেসব জায়গায় চলাফেরা করেছেন সেখানে জীবাণু মুক্ত করতে হবে। জীবাণু মুক্তকরণের প্রক্রিয়া মিটলে অফিস ফের চালু হতে পারে। 

1010

দু-একজন কর্মী আক্রান্ত হয়েছে বলে সঙ্গে সঙ্গে গোটা অফিস বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি বিরাট সংখ্যাক কর্মী আক্রান্ত হন তাহলে ৪৮ ঘণ্টার জন্য গোটা অফিস বন্ধ করে জীবাণু মুক্ত করণ প্রক্রিয়া চালাতে হবে। তারপর স্বাভাবিক নিয়মে অফিসে কাজকর্ম চলতে পারে।
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos