বাড়তে পারে ট্রেনের ভাড়াও, রেলের বেসরকারিকরণে আত্মনির্ভর ভারতের ওপর জোর

ভারতীয় রেলে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য দুটি উদ্যোগ ঘোষণা করা হয়েছে। একটি বেসরকারি অপারেটরদের দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো। আর অন্যটি হল রেল স্টেশনগুলি পুনর্নবিকরণ। আর এই দুটি প্রকল্পের মাধ্যেই আগামী পাঁচ বছরে ভারতে ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। 

বেসরকারি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবায় ৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ যাতে আসে সেই দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। 

ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়ে দিয়েছেন বেসরকারী যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবায় ভাড়া নির্ধারণের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে সংস্থাগুলির হাতে। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ও বিমান চলাচলের রুটের কথা মাথায় রেখেই বেসরকারি যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। 

ভারতের যোগাযোগের লাইফনাইন হল ভারতীয় রেল। আর তাই রেলভাড়া স্বাভাবতই সংবেদনশীল। তাই সবদিক চিন্তাভাবনা করেই যাত্রীভাড়া নির্ধারণ করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। 

 বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ডিপো সেটআপ বা আপগ্রেডের স্টেশনগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে ট্রেনের নক্সা বা পরিকাঠামোতেও বদল আনতে পারে। 

পাশাপাশি সময়সূচি মেনে ট্রেন চলাচল আর নির্ভরযোগ্যরার দায়িত্বও থাকবে বিনিয়োগকারীদের ওপর। একই সঙ্গে ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করবে তারা। 
 

মেকইন ইন্ডিয়ার কথা মাথায় রেখে বিনিয়োগকারীরা যাতে দেশীয় সংস্থার তৈরি জিনিস ব্যবহার করে তার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে বিনিয়োগকারীরা মাত্র তিনটি ট্রেন আমদানি করতে পারবে। 
 

ভারতীয় রেলওয়ে রেললাইন আর অন্যান্য স্থির অবকাঠামোগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে। তবে ট্রেনের চালক আর প্রহরী সরবরাহ করবে ভারতীয় রেল।