লাল ফৌজের টার্গেট পঞ্জাব রেজিমেন্ট, তাই লাদাখে সেনা শিবিরে বাজছে পঞ্জাবি পপ

পূর্ব লাদাখের ফরোয়ার্ড এলাকায় রীতিমত লাউডস্পিকার বাজিয়ে পাঞ্জাবি গান চালিয়ে বসে রয়েছে চিনা সেনা। সমর বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন  ভারতীয় সেনাদের মনোবল ভাঙতে অথবা মনোনিবেশে চিড় ধরাতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চিনের পিপিলস লিবারেশন  আর্মির সদস্যরা। কিন্তু কেন?এটাই কিন্তু প্রথম নয় এর আগেও ১৯৬২ সালে ভারত চিন যুদ্ধের সময় মুম্বইয়ের হিন্দি সিনেমার গান বাজিয়েছিল মাইকে। এক সেনা বিশেষজ্ঞের কথায় চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা কিছুটা হলেও সমীহ  করে চলে ভারতের পাঞ্জাবি বা শিখ সৈন্যদের। 

Asianet News Bangla | Published : Sep 17, 2020 2:43 PM IST / Updated: Sep 18 2020, 10:50 AM IST

110
লাল ফৌজের টার্গেট পঞ্জাব রেজিমেন্ট, তাই লাদাখে সেনা শিবিরে বাজছে পঞ্জাবি পপ

পূর্ব লাদাখের ফরওয়ার্ড এলাকায়  রীতিমত মুখোমুখি অবস্থান করছে ভারতীয় ও চিনা সেনা। আর এখানেই তারস্বরে বেজে যাচ্ছে পাঞ্জাবি গান। যারমধ্যে পাঞ্জাবি পপের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে এক সেনা আধিকারিক। 

210

এটাই প্রথম নয়, এর আগে ভারত চিন যুদ্ধের সময়ও চিনারা একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল। তবে সেই সময় মূলত বাজানো হয়েছিল বলিউডের তৎকালীন জনপ্রিয় হিন্দি ছবির গান। 
 

310

এক সমর বিশেষজ্ঞের কথায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর মনোবল আর মনোসংযোগ নষ্ট করতে পরিকল্পনা মাফিকই ফরোয়ার্ড এলাকায় লাউডস্পিকারে চলছে পাঞ্জাবি পপ। 
 

410

একটি সূত্র বলছে ভারতের গান বাজিয়ে চিনা সেনা ভারতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তারা দেখাতে চাইছে তারা ভারতের সবকিছুই বোঝে। ভারত আগামী কি পদক্ষেপ নিতে চলছে তাও তারা আঁচ করতে পারে। 

510

 ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধিকাংশ সিংহভাগই পঞ্জাবি বা শিখ। সেনাবাহিনীর সংখ্যাগুরু অংশই হিন্দিতে কথাবার্তা বলে। তাই হিন্দি গান বাজিয়ে তাদের ভারতীয় জওয়ানদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের আচরণ বুঝতে পেরেছে চিনারা। 
 

610

চিনাদের এই আচরণের পিছনে রয়েছে ইতিহাস। প্রাক্তন এক সমর বিশেষজ্ঞ বলছেন চিনা সেনা কিছুটা হলেও সমীহ করে ভরতে ভারতে শিখ রেজিমেন্টকে। ব্রটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল এই রেজিমেন্ট। চিনের বক্সার বিদ্রোহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল শিখ রেজিমেন্ট। চিনে পাঠানো ২০ হাজার ব্রিটিশ সেনার মধ্যে ৮ হাজার ছিল শিখ রেজিমেন্টের সদস্য। 

710

তৎকালীন এক ভারতীয় সিপাহীর বিবরণ অনুযায়ী যুদ্ধ জয়ের পর ব্রিটিশ আর্মির সদস্যরা লুটপাট শুরু করেছিল। রাশিয়ান আর ফরাসি সেনারা খুন আর ধর্ষণে লিপ্ত হয়েছিল। 

810

 সেই সময় লুঠ হয় ১৩৬৮-১৬৪৪ সালের মিং রাজবংশের বহু মূল্যবান সম্পদ। যারমধ্যে ছিল একটি সোনা আর ব্রোঞ্জের ঘণ্টা। অনুমান করা হয়ে এক ব্রিটিশ জেনারেল সেটি লুঠ করেছিল। সেটি সহ আরও ১৬টি লুটের প্রাচিন জিনিস ১৯৯৫ সালে ভারতীয় বাহিনী ফেরত দিয়েছিল। 
 

910

কিন্তু চুসুল ব্রিগেডের সদর দফতরে এখনও রয়েছে একশো বছরেরও বেশি আগে শিখ রেজিমেন্টের দ্বারা উদ্ধার হওয়া একটি সোনার বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। 

1010

রেজিংলা আর রেচিন লা রিজলাইনটি চুসুল থেকে খুব বেশি দূরে নয়। এখানেই দুই দেশের সেনাদলের মধ্যে সর্বদা রয়েছে টানটান উত্তেজনা। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos