মোদীর চায়ের দোকানকে পর্যটন স্থল বানাচ্ছে গুজরাত সরকার, অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল পশ্চিম রেল

Published : Aug 27, 2020, 09:02 AM IST

ছোটবেলায় গুজরাতের ভাডনগর স্টেশনের বাইরে বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে কাজ করতেন তিনি। গত কয়েক বছরে বার বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে ঘুরেফিরে এসেছে সেই অভিজ্ঞতার কথা। কিন্তু তাঁর বাবার সেই চায়ের দোকান সম্পর্কে কোনও তথ্যই নাকি নেই পশ্চিম রেলের কাছে। যা নিয়ে দেশের রাজনীতিতে নতুন করে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

PREV
19
মোদীর চায়ের দোকানকে পর্যটন স্থল বানাচ্ছে গুজরাত সরকার,  অস্তিত্ব নিয়েই  প্রশ্ন তুলে দিল পশ্চিম রেল

বিভিন্ন সময়ে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, গুজরাটের ভাডনগর স্টেশনের বাইরে বাবার চায়ের দোকানে চা বিক্রিও করতেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও তার কোনও তথ্য প্রমাণ এ যাবতকাল দেওয়া হয়নি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এ নিয়ে রহস্যের জট পাকিয়েছিল। এর পরই আইনজীবী ও সমাজকর্মী পবন পারেখ তথ্য জানার অধিকার আইনে এ বিষয়ে আবেদন করেছিলেন।

29

ভাডনগর স্টেশনের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর বাবা দামোদরদাস মোদীর চায়ের দোকান সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে বছর দুয়েক আগে পশ্চিম রেলের সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের কাছে আবেদন জানান হরিয়ানা আদালতের আইনজীবী তথা সমাজকর্মী পবন পারেখ। কোন সালে ওই দোকানটির লাইসেন্স মঞ্জুর হয় তা জানতে চান তিনি। সেই সংক্রান্ত কোনও নথি পাওয়া যাবে কিনা, তা-ও জানতে চান।

39

সেই আবেদনের কোনও জবাব না আসায় সরাসরি সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনে অ্যাপিল করেন তিনি। তারও কোনও জবাব না মেলায় সম্প্রতি দ্বিতীয় বার অ্যাপিল করেন। তাতেই তাঁকে জানিয়ে  দেওয়া হয় যে, অনেক দিন আগের ঘটনা এটা। আহমেদাবাদ ডিভিশনের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও রেকর্ড নেই। 

49

চলতি বছর ১৭ জুনের আগে পবন পারিকের কোনও অ্যাপিল তাঁর হাতে আসেনি জানিয়ে তাঁর দ্বিতীয় অ্যাপিলটি খারিজ করে দেন ইনফরমেশন কমিশনার অমিতা পাণ্ডবে। এই সংক্রান্ত কোনও রেকর্ড তাঁদের কাছে নেই জানিয়ে ইনফরমেশন কমিশনকে একটি হলফনামাও জমা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

59

জানা গেছে, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এবং ট্রেনে প্রধানমন্ত্রীর চা বিক্রি করার বিষয়টি যাচাই করতে ২০১৫ সালে তথ্য জানার আইনে আবেদন করেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী তথা কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ তেহসিন পুনাওয়ালাও। স্টেশন চত্বর ও ট্রেনে চা বিক্রির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়েছিল কিনা, সেই সংক্রান্ত তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই বিষয়েও কোন তথ্য নেই বলে জানিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ, ছোটবেলায় কোনও স্টেশনে বা ট্রেনে মোদী চা বিক্রি করেছেন এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

69

মোদী নিজেও অনেকবার দাবি করেছেন, বাবার চায়ের দোকানে ছোটবেলায় চা বিক্রি করার কথা। কিন্তু সেই চায়ের দোকানটি কোথায় ছিল, তা অবশ্য কখনও স্পষ্ট করেননি তিনি। বিরোধীরাও এ নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু এবার পশ্চিম রেলের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হল, তাঁদের কাছেও এ নিয়ে কোনও তথ্য নেই। ফলে আরটিআই-এর মাধ্যমে করা আবেদনে ইতি ফেলল সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন।

79

বিভিন্ন সময়ে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, গুজরাতের ভাডনগর স্টেশনের বাইরে বাবার চায়ের দোকানে চা বিক্রিও করতেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও তার কোনও তথ্য প্রমাণ এ যাবতকাল দেওয়া হয়নি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এ নিয়ে রহস্যের জট পাকিয়েছিল।
 

89

ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এর আগে বলেন, ‘ভাডনগর স্টেশনে মোদী যে কেটলিতে চা বেঁচতেন এখনও পর্যন্ত সেই কেটলি কেউ দেখেননি। আজ পর্যন্ত কাউকে পাওয়া যায়নি যিনি মোদীর হাত থেকে চায়ের পেয়ালা নিয়েছেন।’ এই একইরকম বক্তব্য এসেছিল প্রবীণ তোগাড়িয়ারের কাছ থেকেও। 

99

এদিকে ভাদনগর স্টেশনের যে চায়ের দোকানে বসে ছোটবেলায় চা বিক্রি করতেন নরেন্দ্র মোদী, সেই চায়ের দোকানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুজরাত সরকার৷ দোকানটি যে অবস্থায় আছে হুবহু সেই অবস্থাতেই সেটি কাচের আচ্ছাদন দিয়ে ঘিরে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 

click me!

Recommended Stories