সামনে এল এনকাউন্টারের ১৪ ছবি, দেখে নিন হায়দরাবাদকাণ্ডে নিহতদের শেষ পরিণতি
হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও খুন-এর ঘটনায় নিহত ৪ অভিযুক্ত। সায়রাদাবাদ পুলিশ জানিয়েছে এই চার জনকেই এনকাউন্টারে হত্যা করা হয়েছে। কারণ এরা পালোনার চেষ্টা করছিল। পুলিশের আরও দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে অভিযুক্তরা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পালানোর চেষ্টা করছিল। সেই সময় পুলিশ বারবার নাকি অভিযুক্তদের না পালানোর জন্য আর্জি জানানো হয়। শেষমেশ উপায় না পেয়ে চারজনের উপরে গুলি চালায় পুলিশবাহিনী। এতেই চার জনের মৃত্যু হয়।
Asianet News Bangla | Published : Dec 6, 2019 4:52 AM IST / Updated: Dec 06 2019, 01:21 PM IST
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে এনকাউন্টারের পর ঘটনাাস্থলে উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের।
এই এনকাউন্টারের জন্য এখন চরম প্রশংসিত হচ্ছেন এই আইপিএস অফিসার। যাঁর নাম ভিসি সজ্জানার। ১১ বছর আগে এক গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছিল। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন এই আইপিএস।
এনকাউন্টারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সামসাবাদে ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড়। সামনে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুলিশের দাবি, এই জাতীয় সড়ক ধরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ৪ জন।
এই সেই ফ্লাইওভারের নিচে থাকা আন্ডারপাস। যেখানে সামসাবাদের পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছিল অভিযুক্তরা। ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য অভিযুক্তদের এখানে আনা হয়েছিল।
এনকাউন্টারের পর ফোনে ব্যস্ত পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ-কে রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন।
এই বাসে করেই অভিযুক্তদের ঘটনাাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছিল ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য।
জানা গিয়েছে রাত সাড়ে তিনটের সময় অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ঘটনার পুনর্নির্মাণ।
ঘটনাস্থলেও দেখা যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এদের অনেকেই জানিয়েছেন, গুলির আওয়াজ তারা ভোররাতে পেয়েছেন। বুঝতে পারেননি কি হয়েছে। দিনের আলো ফুটতেই তারা ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। জানতে পারেন যে দিন কয়েক আগে যে গণধর্ষণ ও হত্যায় ধৃতদের ধরা হয়েছিল তাদের এনকাউন্টার করা হয়েছে।
এনকাউন্টারের পর ৪ অভিযুক্তর দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পুলিশি নিরাপত্তায়। ৪ অভিযুক্তর নাম মহম্মদ আরিফ, জোল্লু শিবা, জোল্লু এবং চিন্নাকেশাভুলু।
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সাংবাদমাধ্যমের ভিড়। দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে এলাকা।
বিশাল সংখ্যক মানুষের দল। এঁরা ভিড় করেছেন ঘটনাস্থলে। সকলেরই কৌতুহল এনকাউন্টারের স্থান দেখার।
এই জংলা গাছের জঙ্গলেই পড়েছিল চার অভিযুক্তের দেহ। পুলিশের দাবি এই জংলা গাছের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল ৪ জন।
পুলিশের উদ্দেশে পুষ্পবৃষ্টি, যে ভাবে হায়দরাবাদ গণধর্ষণ এবং হত্যায় অভিযুক্তদের পুলিশ এনকাউন্টারে খতম করেছে তাতে বাহবা দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমনই কিছু জন শুক্রবার সকালে পুলিশকে সেলুঠ ঠুকে পুষ্পবৃষ্টি করেন।