কয়েক কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক দ্রৌপদী মুর্মু, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর ব্যক্তিগত জীবন মোটেও সুখের ছিল না
দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী সম্প্রদায় প্রতিনিধি। ওড়িশার বাসিন্দা তিনি। সমাজকর্মী হিসেবে বিশেষ পরিচিত রয়েছে তাঁর। আদীবাসী ও জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য় একাধিক কাজ করেছেন তিনি।
Saborni Mitra | Published : Jul 18, 2022 4:37 PM IST
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালে ২০ জুন ওড়িশার ময়ুরভঞ্জের একটি আদিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিএ পাশ করার পর ওড়িশা সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চাকরি করেন। ১৯৭৯-১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এই চাকরি করেছিলেন। তারপর ১৯৯৪ সালে রায়রাংপুরের অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টারের শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন।
দ্রৌপদী মুর্মুর ব্যক্তিগত জীবন খুব একটা সুখের ছিল না। ব্যাঙ্ক অফিসার শ্যাম চরণ মুর্মুকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তবে তাঁর স্বামী র মৃত্যু হয়েছে। তিন সন্তানের মা তিনি। তাঁর দুই ছেলেও প্রয়াত। একমাত্র মেয়ে বেঁচে রয়েছেন। তাঁর নাম ইতশ্রী। তাঁর স্বামী গণেশ মুর্মু হেমব্রম।
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৯৭ সালে রাজনীতিতে পা রাখেন। ওড়িশার রায়রাংপুর জেলা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রার্থী হন ও জয় লাভ করেন। তিনি সভ-সভাপতি হয়েছিলেন। ২০০২-২০০৯ সাল পর্যন্ত ময়ূরভঞ্জ জেলার বিজোপির নেত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৪ সাল রায়রাংপুর বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডে চলে আসেন দলের নির্দেশে। ২০১৩ -১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।
২০২২ সালের জুনে, এনডিএ সরকার রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর জন্য দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করেছে। এইভাবে, যদি দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের রাষ্ট্রপতি হতে সফল হন, তবে তিনি হবেন প্রথম উপজাতীয় মহিলা যিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি হবেন, পাশাপাশি দ্বিতীয় মহিলা যিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির পদের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
দ্রৌপদী মুর্মু ওড়িশা সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পরিবহণ ও বাণিজ্য দফতরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ২০০০-০৪ সাল পর্যন্ত। পরে তাঁকে পশুপালন ও মৎস দফতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের অন্যতম ধনী ও অন্যতম জনপ্রিয় আদিবাসী রাজনীতিবিদ। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় হিসেবে ১১.৭ কোটি টাকা।
২০০৭ সালে সেরা বিধায়ক হিসেবে তাঁকে নীলকান্ত সম্মান দিয়েছিল ওড়িশা সরকার। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছে তিনি।