করোনাকে কাবু করতে দরকার ভ্যাকসিন না হার্ড ইমিউনিটি, জবাব দিল 'হু'

Published : Aug 29, 2020, 09:45 AM ISTUpdated : Aug 29, 2020, 10:59 AM IST

মহামারি করোনাকে প্রতিহত করতে অনেকেই হার্ড ইমিউনিটির কথা বলছে। তবে করোনা জয় করতে যদি স্বাভাবিকভাবে শরীরে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করার চেষ্টা হয় তবে তা ভয়াবহ হতে পারে। এক লাফে কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে  মৃত্যুর সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'-র করোনা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ফন কারখোভে এমন আশঙ্কার খবরি শোনালেন।

PREV
111
করোনাকে কাবু করতে দরকার ভ্যাকসিন না হার্ড ইমিউনিটি, জবাব দিল 'হু'


করোনা লড়াইয়ে লকডাউনের বদলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির পথে হাঁটার চেষ্টা করেছে দুটি দেশ, উভয়েই ব্যর্থ হয়েছে।

211

সুইডেন অফিস কাছারি, দোকানপাট সমস্ত কিছু খোলা রেখেছিল, সরকার মানুষজনকে বাড়ি থাকার, ভিড়ভাট্টা না করার নির্দেশ দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু খোলা রাখা হয়েছিল স্কুল, রেস্তোঁরা, পার্ক ইত্যাদি। কিন্তু এর ফলেও রাজধানী স্টকহোমের মাত্র ৭.৩ শতাংশ বাসিন্দার মধ্যে কোভিড বিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয় বলে জানিয়েছে সুইডিশ সরকার। 

311

এছাড়া হার্ড ইমিউনিটির পথে হাঁটার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। কিন্তু লাগামছাড়া  মৃত্যু মিছিলে সেই চেষ্টায় ইতি টানতে বাধ্য হয়েছে বরিস জনসনের সরকার।

411


বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, করোনার মধ্যে মানুষ যত পরস্পর মেলামেশা করবে, তত বাড়বে সংক্রমণের আশঙ্কা। আর তাদের থেকে সংক্রমণ ছড়াবে অন্যদের মধ্যে। 

511

এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ফন কারখোভে হার্ড ইমিউনিটি দিয়ে ই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

611

মারিয়া বলেছেন, এই মুহূর্তে 'হু' চেষ্টা করছে করোনার একটি নিরাপদ ও কর্মক্ষম ভ্যাকসনি আনতে,  যাতে আগামী দিনে সংক্রমণ রোখা যায়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে হার্ড ইমিউনিটি পাওয়ার চেষ্টা হলে বহু মানুষ মারা যাবেন। এ জন্য অন্তত দুই তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার মধ্যে এই ইমিউনিটি তৈরি হতে হবে, অন্তত ৬৫ থেকে সত্তর শতাংশ মানুষের ইমিউনিটি তৈরি হওয়া জরুরি। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব সমস্ত বয়সের জনসংখ্যার মধ্যে ভ্যাকসিনই  তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও কার্যকর।

711

তবে ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত করোনার হাত থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব পালন, মাস্ক পরা আর হাত নিয়মিত ধোয়াই এখনও পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ উপায়।

811

এদিকে ভারতে হার্ড ইমিউনিটি নয়, করোনা মোকাবিলায় ভরসা ভ্যাকসিন, একথা আগেই স্পষ্ট করেছিল কেন্দ্র। 

911

ভারতের বিপুল জনসংখ্যার কারণে 'হার্ড ইমিউনিটি'-এর জন্য অনেকদূর যেতে হবে। এমনটাই মনে করছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছিলেন, ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ কৌশলগত পছন্দ বা বিকল্প হতে পারে না। বরং ভারতে ‘হার্ড ইমিউনিটি’-র জন্য লাখ লাখ মানুষকে করোনায় আক্রান্ত হতে হবে, হাসপাতালে ভরতি হতে হবে এবং অনেকের মৃত্যু হবে। 

1011

‘হার্ড ইমিউনিটি’বলতে বোঝায়, কোনও একটি জনসংখ্যার মধ্যে কোনও সংক্রামক রোগ ছড়ানো থেকে প্রতিরোধ গড়ে ওঠা। যেখানে অধিকাংশ মানুষের ওই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে।

1111

ভারত সরকার আগেই জানিয়েছে  যতদিন না করোনার টিকা আসছে, ততদিন সুরক্ষাবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। 

click me!

Recommended Stories