নরেন্দ্র মোদীর নীতি নেবারহুড ফার্স্ট বা প্রতিবেশি প্রথম। এই নীতিতেই চিনকে ভ্যাকসিনের মাঠে গোল দিচ্ছে ভারত। আগেই টিকা পেয়েছিল মালদ্বীপ, ভুটান, বাংলাদেশ, নেপাল এবং আফগানিস্তান। এদিন কোভিশিল্ড উড়ে গেল বাহরিন এবং শ্রীলঙ্কায়।
amartya lahiri | Published : Jan 28, 2021 6:46 AM IST / Updated: Jan 28 2021, 12:22 PM IST
বৃহস্পতিবার ভারত থেকে মহামারি থেকে মুক্তির প্রাণভোমরা পৌঁছে গেল বাহরিন এবং শ্রীলঙ্কায়।
সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি, কোভিশিল্ড-এর ১০,৮০০ ডোজ সরবরাহ করা হল বাহরিন-এ।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা পেল কোভিশিল্ডের ৫০,৪০০ ডোজ।
এদিন সকাল ৭টা বেজে ৫৫ মিনিটে মুম্বই বিমানেবন্দর থেকে একটি কার্গো অর্থাৎ মালবাহী বিমান, কোভিসিল্ড নিয়ে রওনা দেয় বাহারিনের রাজধানী মানামা-র উদ্দেশ্যে। দিন কয়েক আগেই শুধুমাত্র কোভিড থেকে যাদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে তাদের জন্য কোভিশিল্ড টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল তারা।
কলম্বোতেও মুম্বই থেকে একটি কার্গো বিমানেই ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। কিছু সমস্যার জন্য বিমানটি ১৫ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। সকাল ৯টায় রওনা হয় শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে।
গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে করোনার টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল। আর গত ২০ জানুয়ারি থেকে ভারত প্রতিবেশি দেশে ভ্যাকসিন পাঠানো শুরু করে। প্রথমেই ভ্যাকসিন গিয়েছিল ভুটান ও মালদ্বীপে। তারপর একে একে 'নেবারহুড ফার্স্ট' বা 'প্রতিবেশি আগে' নীতি মেনে ভারত সরকার নেপাল, মায়ানমার, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে।
নরেন্দ্র মোদীর নীতি প্রতিবেশি প্রথম। আগেই বলেছিলেন ভ্যাকসিন যুদ্ধে প্রতিবেশিদের পাশে থাকবেন, সেই কথা রাখলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এতে করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় অঞ্চলে, নির্ভরযোগ্য মিত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।
বস্তুত, এই বিষয়ে চিনের সঙ্গে রীতিমত প্রতিযোগিতায় নেমেছে নয়াদিল্লি। গত ৬ জানুয়ারি বেজিং থেকে কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়ে এক ভিডিও কনফারেন্স-এর আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে এই অঞ্চলের ৮টির মধ্যে ৬টি দেশ যোগ দিয়েছিল। তারপর থেকেই ততপরতা বাড়ে নয়াদিল্লির।