এক টিকাতেই মরবে করোনা এবং চিন, প্রতিবেশিদের ঘরে ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করলেন মোদী, দেখুন

ভারতে সবে শুরু হয়েছে গণ টিকাকরণ। তার মধ্য়েই প্রতিবেশি দেশে কোভিড টিকা পাঠানোর কাজ শুরু হল। এটা কি শুধুই বিশ্বকে কোভিড লড়াইয়ে সহায়তা? নাকি এর পিছনেও রয়েছে চিন-কে হারাবার উদ্দেশ্য।

 

amartya lahiri | Published : Jan 20, 2021 2:03 PM IST / Updated: Jan 20 2021, 07:34 PM IST
15
এক টিকাতেই মরবে করোনা এবং চিন, প্রতিবেশিদের ঘরে ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করলেন মোদী, দেখুন

বিশ্বকে করোনা মহামারির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ভ্যাকসিন বিতরণ করে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবারই মালদ্বীপ এবং ভুটানে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার উত্পাদিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ১ লক্ষ ডোজের প্যাকেজ পৌঁছে দিল ভারত। এরপর, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল এবং সেশেলস-এও পাঠানো হবে ভারতে অনুমোদন প্রাপ্ত কোভিড টিকাদুটি। দেশিয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মরিশাসও ভারত থেকে এই দুই ভ্যাকসিন আমদানি করবে।

 

25

এছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়া, কাতার, বাহরিন, সৌদি আরব, মরক্কো এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলি থেকেও ভারতীয় নির্মাতাদের কাছ থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন কেনার ঝোঁক তৈরি হয়েছে বলে খবর রয়েছে। গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কা সফরের সময়, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সেই দেশে ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন। তারও আগে বিভিন্ন দেশের ৬০ জন রাষ্ট্রদূতকে গত ডিসেম্বর মাসে হায়দরাবাদে ভারত বায়োটেকের গবেষণাগার পরিদর্শন করিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। চলতি সপ্তাহের শুরুতে নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গাঙ্গোয়ালির নয়াদিল্লি সফরের সময় কাঠমান্ডুকে ভ্যাকসিন সরবরাহের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

 

35

কাজেই বোঝা যাচ্ছে প্রতিবেশি দেশগুলিকে ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে বিশেষ তৎপরতা দেখা যাচ্ছে ভারতের পক্ষ থেকে। অথচ, ভারতে সবেমাত্র টিকাকরণ কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে। লক্ষ্য ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন কর্মীকে টিকা দেওয়া। তার মধ্যেই কেন নয়াদিল্লি তার এশিয় প্রতিবেশীদের সহায়তা করার জন্য এত উঠে পড়ে লেগেছে? আসলে, এই ভ্যাকসিনে শুধু করোনা নয়, চিন-কেও মারতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। লাদাখের পর ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও দুই দেশে তৈরি হয়েছে প্রতিযোগিতা।

 

45

মহামারি শুরুর দিকে করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় চিনা পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছিল সমগ্র বিশ্ব। বিশেষত বেজিং-এর উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিল এশিয় দেশগুলি। তারা মনে করেছিল, চিন চাইলেই মহামারিকে তাদের দেশে সীমাবদ্ধ রাখতে পারত। ত্রুটিপূর্ণ কোভিড-১৯ টেস্টিং কিট রফতানি করে ভাবমূর্তি আরও খারাপ হয়েছিল জিনপিং প্রশাসনের। এবার ভ্যাকসিন সরবরাহ করে এশিয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত ও জোরদার করার চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং।

55

জানা গিয়েছে গত ৬ জানুয়ারী, চিনা কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করেছিল, যেখানে উপস্থিত ছিল দক্ষিণ-এশিয়ার পাঁচটি দেশ। মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন্স, ইন্দোনেশিয়া এবং কাম্বোডিয়াকে তারা ইতিমধ্যেই চিনা টিক সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরমধ্য়ে তাদের জমি কাড়তে নেমে পড়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলে চিনের প্রভাব কমিয়ে বৃহত্তর শক্তি হয়ে উঠতে চাইছে নয়াদিল্লি। শুধু টিকা-কূটনীতি ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের কোনও মৌলিক পরিবর্তন না করতে পারলেও, নেপালের মতো এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্কের পুনরুন্নয়ন ও সম্পর্কের ভিত আরও জোরদার করার সুযোগ করে দিতে পারে।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos