পাক হিন্দু-খ্রিস্টান মহিলারা চিনে বিক্রি হচ্ছেন বেশ্যা হিসাবে, ফাঁস করলেন মার্কিন কুটনীতিক

হিন্দু ও খ্রিস্টান মহিলাদের চিনে পাচার করে দিচ্ছে পাকিস্তান। সেখানে তাঁদের চিনা পুরুষদের কনকুবাইন বা উপপত্নী হিসাবে থাকতে হয়। নয়তো, জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় কোনও চৈনিক পুরুষের সঙ্গে। মার্কিন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াল ফ্রিডম-এর অ্যাম্বাস্যাডার-অ্যাট-লার্জ স্যামুয়েল ডি ব্রাউনব্যাক এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন।

 

amartya lahiri | Published : Dec 9, 2020 12:39 PM IST / Updated: Dec 10 2020, 09:03 AM IST

16
পাক হিন্দু-খ্রিস্টান মহিলারা চিনে বিক্রি হচ্ছেন বেশ্যা হিসাবে, ফাঁস করলেন মার্কিন কুটনীতিক

মঙ্গলবার শীর্ষস্থানীয় মার্কিন স্যামুয়েল ডি ব্রাউনব্যাক বলেছেন, চিনা পুরুষদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জোর করে ধরে আনা সংখ্য়ালঘু খ্রিস্টান এবং হিন্দু মহিলাদের বিক্রি করে দেয় পাকিস্তানিরা। চিনা পুরুষদের কেউ কেউ ওই মহিলাদের বিবাহ করে, কখনও বা এক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তাদের উপপত্নি হিসাবে ব্যবহার করে।   

 

26

ব্রাউনব্যাক আরও জানিয়েছেন পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্যই তাদের বিপদ আরও বাড়িয়েছে। আর এই কারণেই পাকিস্তানকে, আমেরিকা আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের অধীনে 'বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ' বা সিপিসি হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

 

36

উল্লেখ্য ২০১৯-এর ডিসেম্বরেই অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ৬২৯ জন পাকিস্তানি মহিলাদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। তালিকাটা অবশ্য পাক গোয়েন্দাদেরই তৈরি করা। এই সকল মহিলাকে ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে চিনা পুরুষদের কাছে নববধূ হিসাবে বিক্রি করা হয়েছিল।

 

46

বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলাদের জোর করে চিনে আনার পর প্রথম কয়েকদিন তাদের কোনও বিচ্ছিন্ন জায়গায় বন্দি করে রাখা হয়। চূড়ান্ত অবহেলা এবং হেনস্থার মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হয় তারা। তারপর কারোর স্ত্রী, উপপত্নি বা সরাসরি বেশ্যালয়ে বিক্রি করা হয়।

 

56

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের অন্তর্তদন্তে জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা সাধারণত দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীকে নিশানা করে। সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের জন্যই সংখ্যালঘু পরিবারগুলি দারিদ্রে ডুবে থাকে। তাই খ্রিস্টান বা হিন্দু পরিবারগুলিকে অর্থের লোভ দেখানো সহজ।

 

66

এই ঘটনায় পাক সরকারের ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। জানা গিয়েছে, সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলাদের কী হল, তাই নিয়ে প্রশাসনের বিশেষ মাথা ব্যথা নেই, তদন্তও হয় না। কাজেই অপরাধ করেও অপরাধীদের পার পেতে কোনও বাধা নেই। আর এটা একবার বুঝে নেওয়াতেই পাকিস্তানে রীতিনতো এই বিষয়ে একটি বিশাল চক্র গড়ে উঠেছে এবং দিন দিন তা আকারে বাড়ছে।

 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos