ইতিহাসে গীতাঞ্জলি - টাইম ম্যাগাজিনের প্রথম 'কিড অব দ্য ইয়ার'কে চিনে নিন ছবিতে ছবিতে

Published : Dec 05, 2020, 01:31 PM ISTUpdated : Dec 08, 2020, 12:14 PM IST

১৯২৭ সালে প্রথম বার 'ম্যান অব দ্য ইয়ার' পুরষ্কার চুল করেছিল টাইম ম্যাগাজিন। এই বছর থেকে তারা কিড অব দ্য ইয়ার পুরষ্কার দেওয়া শুরু করল। আর প্রথমবারেই তা জিতে নিল ভারতীয়-মার্কিনি কিশোরী গীতাঞ্জলি রাও। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দূষিত জল সনাক্তের মতো বিস্ময়কর কিছু কাজ করেছে সে। আসুন চিনে নেওয়া যাক এই কিশোরী বিজ্ঞানীকে।  

PREV
16
ইতিহাসে গীতাঞ্জলি - টাইম ম্যাগাজিনের প্রথম 'কিড অব দ্য ইয়ার'কে চিনে নিন ছবিতে ছবিতে

১৫ বছরের ভারতীয় মার্কিনি গীতাঞ্জলি রাও-এর জন্ম মার্কিন কলোরাডো প্রদেশের ডেনভার-এ। এই 'উজ্জ্বল' তরুণ বিজ্ঞানী তথা উদ্ভাবককেই টাইম ম্যাগাজিন তাদের প্রথম 'কিড অব দ্য ইয়ার' অর্থাৎ বছরের সেরা শিশু ব্যক্তিত্ব হিসাবে বেছে নিয়েছে।

26

কী কী উদ্ভাবন করেছে সে? ২০১৮ সালে যখন গীতাঞ্জলির বয়স ছিল মাত্র ১৩, এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছিল যা জলের মধ্যে সিসা আছে কিনা তা বলে দিতে পারে। পাণীয় জলে সিসা দূষণ বিশ্বের বহু অংশের গুরুত্বপূর্ণ সমস্য়া। আবার, সম্প্রতি সে এমন একটি অ্যাপ বানিয়েছে সে, যা এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে 'সাইবার বুলিং' অর্থাৎ ইন্টারনেটে কেউ কাউকে হেনস্থা করছে কিনা, তা সনাক্ত করতে পারে। এই অ্যাপের একটি গুগল ক্রোম এক্সটেনশন-ও রয়েছে। আবার ওপিওয়েড আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার মতো পথও বের করেছে সে।

 

 

36

কীভাবে শুরু হয়েছিল বিজ্ঞানে এই আগ্রহ? গীতাঞ্জলি জানিয়েছে, যখন তার বয়স ছিল ৩ কি ৪, তাকে একটি কেমিস্ট্রি কিট উপহার দিয়েছিলেন তার কারা। আর তার মধ্যে থাকা সমস্ত পরীক্ষা একদিনেই শেষ করে ফেলেছিল সে। সেই থেকেই কোনও সমস্য়া পেলেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দ্রুত তার সমাধান করতে লেগে পড়ে সে।

 

46

টাইম ম্যাগাজিনের এই পুরষ্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে বিশ্বের পাঁচ হাজারেরও বেশি শিশুকে মনোনীত করা হয়েছিল। মার্কিন কৌতুক অভিনেতা তথা টিভি উপস্থাপক ট্রেভর নোয়া ও বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীর সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি তার মধ্য থেকে বেছে নিয়েছিল সেরা পাঁচজনকে। তারমধ্যে সেরার সেরা হয়েছে গীতাঞ্জলি রাও।

 

56

এই পুরষ্কার জেতার পর টাইম ম্যাগাজিনের হয়ে  গীতাঞ্জলির একটি সাক্ষাত্কার নিয়েছেন বিখ্য়াত অভিনেত্রী তথা অ্যাক্টিভিস্ট অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। জোলিকে গীতাঞ্জলি বলেছে, তার আশা 'বিশ্বের সব সমস্যার সমাধান করার' জন্য অন্যদের স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করতে পারবে সে। মজা করে বলেছে, টিভিতে যে বিজ্ঞানীদের দেখা যায়, তারা অধিকাংশই বয়স্ক, শ্বেতাঙ্গ পুরুষ। সেই দিক থেকে সে একেবারেই আদর্শ বিজ্ঞানীর মতো দেখতে নয়।

 

66

কিড অব দ্য ইয়ার পুরষ্কারের জন্য শিশুদের টিভি চ্যানেল নিকেলোডিয়নের সঙ্গে জোট বেধেছে টাইম ম্যাগাজিন। তারা বলেছে, পৃথিবী-কে আকার দেয় যারা তাদেরই দখলে থাকে পৃথিবী। এই বিশ্ব-কে কখনও কখনও অনিশ্চিত বলে মনে হলেও, এই শিশুরা ইতিমধ্যে যা করে দেখিয়েছে, তা থেকে বাস্তবতার আশ্বাস পাওয়া যায়। বাস্তবটা হল, প্রতিটি নতুন প্রজন্ম তার আগের প্রজন্মের থেকে আরও বেশি এগিয়ে। এর একটা ইতিবাচক প্রভাব আছে।

 

click me!

Recommended Stories