যেখানে সেখানে বীর্যপাত, দেশজুড়ে আতঙ্কিত মহিলারা - আসরে নামলেন সাংসদ, দেখুন ছবিতে ছবিতে

Published : Aug 23, 2021, 09:37 PM ISTUpdated : Sep 06, 2021, 10:56 AM IST

যখন গোটা বিশ্ব আফগানিস্তান আবার সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গভূমি হয়ে উঠবে কিনা, এই নিয়ে চিন্তিত, তখন দক্ষিণ কোরিয়ার কাঁপছে 'সিমেন টেরোরিজম' বা 'বীর্য সন্ত্রাস'এর ভয়ে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে এই সংক্রান্ত আইনের পরিবর্তন চাইছেন সেই দেশের আইন প্রণেতারা। তাঁরা চাইছেন সেক্স ক্রাইম বা যৌন অপরাধ হিসেবে গন্য করা হোক এই অপরাধকে। এই নিয়ে উত্তাল এখন সেই দেশ।    

PREV
16
যেখানে সেখানে বীর্যপাত, দেশজুড়ে আতঙ্কিত মহিলারা - আসরে নামলেন সাংসদ, দেখুন ছবিতে ছবিতে

"বীর্য সন্ত্রাস" শব্দবন্ধটির ব্যবহার প্রথম শুরু হয়েছিল কোরিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায়। আসলে গত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ কোরিয়ায় এক অদ্ভূত ধরণের অপরাধের ক্রমবৃদ্ধি ঘটছে। অনেক পুরুষই, ধরা পড়ছেন মহিলাদের কোনও ব্যবহার্য দ্রব্য বা সম্পত্তির উপর বীর্যপাত করে। এই ধরণের হেনস্থার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে, যে সন্ত্রস্ত সেই দেশের মহিলারা। এর থেকেই নেটিজেনরা এই অপরাধকে সিমেন টেরোরিজম বা বীর্য সন্ত্রাস বলতে শুরু করেছিলেন। 

26

সিওলে একজন পুরুষ সরকারি কর্মচারী ধরা সম্প্রতি 'বীর্য সন্ত্রাসবাদী' হিসাবে ধরা পড়ে। সে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুলাই - এই ছয় মাসের মধ্যে ছয়বার, তার একজন মহিলা সহকর্মীর কফির কাপে বীর্যপাত করেছিলেন বলে প্রমাণিত হয়। এর জন্য তাকে 'সম্পত্তির ক্ষতি' করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। যার জেরে তার ২,৫০০ মার্কিন ডলার জরিমানা হয়েছিল।

36

২০১৯ সালে, আবার একই অপরাধ করে ধরা পড়েছিল একজন স্নাতক স্তরের ছাত্র। তার অপরাধ ছিল আরও গুরুতর। এক সহপাঠিনীর কফিতে সে ৫৪ বার বীর্য, কফ, মল হওয়ার ওষুধ এবং যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল। অবশ্য এর পিছনে তার একটা অন্য কাহিনি ছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তার আগে ওই যুবতীর সঙ্গে সঙ্গম করতে চেয়েছিল স্নাতক স্তরের ছাত্রটি। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে সে এরকমটা করেছিল। ওই অপরাধে তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল।

46

২০১৯ সালে, আবার সিওল সাবওয়ে স্টেশনে, এক মহিলার ব্যাগে বীর্য-ভরা কন্ডোম রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল আরেক পুরুষ। সেই ক্ষেত্রেও তার বিরুদ্ধে সম্পত্তির ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। শাস্তি হয়, কিছু অর্থ জরিমানা।

56

এই ঘটনাগুলি গত কয়েক বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায়, মহিলাদের সম্পত্তির উপর বীর্যপাতের সবথেকে হইচই ফেলে দেওয়া কয়েকটি ঘটনা। তবে এটা কেবলই হিমশৈলের চূড়া। এরকম, বীর্য সংক্রান্ত হেনস্থার শিকার কোরিয় মহিলাদের প্রতিনিয়ত হতে হয় বলেই জানা গিয়েছে। এর অন্যতম কারণ কোরিও আইন অনুসারে শারীরিক যোগাযোগ না হলে, তাকে যৌন অপরাধ হিসাবে ধরা হয় না।  

66

তবে, এই প্রবণতার অবসান চাইছে দক্ষিণ কোরিয়া। চলতি বছরের জুলাই মাসেই, দক্ষিণ কোরিয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইনপ্রণেতা, বায়েক হাই-রিউন দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংসদে এই আইনের একটি সংশোধনীর খসড়া জমা দিয়েছেন। সংশোধনীতে তিনি 'বীর্য সন্ত্রাস'-কে 'অশারীরিক যোগাযোগ' হলেও, যৌন অপরাধের আখ্যা দেওয়ার আবেদন করেছেন। তাঁর এই সংশোধনী নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে দেশ জুড়ে।
 

click me!

Recommended Stories