মৃতদেহকেও ধর্ষণ করতে ছাড়ে না তালিবান - মেয়ে শরীর পেলেই হল, দেখুন ছবিতে ছবিতে

ফের ফাঁস হয়ে গেল তালিবানদের নৃশংস মুখ। যতই তারা নিজেদের পাল্টে যাওয়ার দাবি করুক, সেটা যে মুখোশ, তা এতদিনে সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তাদের নিষ্ঠুরতা যে কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে, তা হয়তো এখনও অনেকেরই কল্পনার বাইরে। আফগানিস্তানে একেবারে সামনে থেকে যারা সেই ভয়াবহতার সাক্ষী হয়েছেন, একমাত্র তাঁরাই বলতে পারেন, ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর তালিবানরা। সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা এক মহিলা দাবি করেছেন তালিবান যোদ্ধারা মহিলাদের মৃতদেহকেও ধর্ষণ করতে ছাড়ে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে আর যাই হোক, মানবতা আশা করা যায় না। তাই, চরম বিপদে আফগান মহিলারা।
 

Asianet News Bangla | Published : Aug 23, 2021 12:37 PM IST / Updated: Sep 21 2021, 10:36 AM IST

110
মৃতদেহকেও ধর্ষণ করতে ছাড়ে না তালিবান - মেয়ে শরীর পেলেই হল, দেখুন ছবিতে ছবিতে

মৃতদেহের সঙ্গে যৌন মিলনের অভ্যাসকে বলা হয় নেক্রোফিলিয়া। আফগান মহিলার দাবি তালিব যোদ্ধাদের মধ্যে এই অভ্যাস দারুণভাবে চালু রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তালেবানরা তাদের লালসা মেটাতে মহিলাদের হয় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়, অথবা গুলি করে মেরে ফেলে। তাদের যৌনখিদে এতটাই বিকৃত, যে যৌনতার সময়ে, কোনও মহিলা বেঁচে আছে, নাকি মরে গিয়েছে - তার কোনও পরোয়া তারা করে না। 
 

210

ওই মহিলার নাম মুসকান। নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, তালিবানরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয় মহিলাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, অথবা মাথায় গুলি করে মেরে ফেলছে। কোনও দ্বিধা না করে সরাসরি মাথায় গুলি করে তারা। আর তারপর চলে ধর্ষণ। তবে এটা তাঁর মতে কিছুই নয়। তালিবানি জমানার সবেমাত্র শুরু, তারা আরও অনেক কিছুই করতে পারে।
 

310

মুসকান আরও বলেছেন, তালিবানরা মনে করে প্রতিটি আফগান বাড়ি থেকে অন্তত একজন করে মেয়ে তাদের প্রাপ্য। ১০-১২ বছরের মেয়েদেরও তুলে নিয়ে যাচ্ছে তারা। সংবাদমাধ্যমের কাছে তারা যে বদলে যাওয়ার দাবি করছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে অভিযোগ করেছেন মুসকান। তাঁর মতে এটা নিছকই ছলনা। মহিলারা কোনওদিনই তালিবানদের কাছে মানুষ ছিল না, এখনও নয়। 
 

410

এর আগে আফগানিস্তানের প্রাক্তন মহিলা বিচারপতি অভিযোগ করেছিলেন, আফগান মেয়েদের কফিনবন্দি করে প্রতিবেশী দেশগুলিতে যৌনদাসী হিসাবে পাচার করছে তালিবানরা। সেই অভিযোগকে সমর্থন করেছেন মুসকানও। তিনি জানিয়েছেন, ছোট ছোট মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে তালিবানরা একরকম ওষুধ দিয়ে তাদের সংজ্ঞাহীন করে দেয়। ওই অবস্থায় তাদের এটি কফিনে বন্ধ করা হয়। তারপর কফিনগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানে। 
 

510

কাবুল দখলেরও অনেক আগে তালিবান জঙ্গিরা, আফগানিস্তানে তাদের দখলকৃত এলাকার মৌলবীদের কাছ থেকে ওইসব এলাকার ১২ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত মেয়েদের নামের তালিকা দাবি করেছিল। তালিবানরা বলছিল, তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে ওই মেয়েদের বিয়ে দিতে চায় তারা। মুসকান বলেছেন, সত্যিটা হল, ওই মেয়েদের তালিব যোদ্ধাদের যৌনদাসী করে রাখা হবে। যাতে তারা যখনই চাইবে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।

610

মুসকান বর্তমানে নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। আফগানিস্তানে তিনি কাজ করতেন পুলিশ বাহিনী। আর এই কাজ করার 'অপরাধে' তাঁকে আর তাঁর পরিবারকে নিয়মিত তালিবানি হুমকির সামনা করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলা হয়েছিল, তিনি যদি কাজে যান, তাহলে তাঁকে শেষ করে দেওয়া হবে, তাঁর পরিবারের অন্য়ান্য সদস্যদেরও ছাড়া হবে না। ফলে শুধু চাকরি নয়, দেশ ছেড়ে পালাতেও বাধ্য হয়েছিলেন মুসকান।
 

710

সম্প্রতি কাবুল দখলের পর মহিলাদের সরকারি কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল তালিবানরা। তবে মুসকানের দাবি, এগুলো সবই তালিবানদের ভাঁওতাবাজি। যেসব মহিলা সরকারের পক্ষে কাজ করেন, তাদের ভয়াবহ পরিণতি করে ছাড়ে তালিবানরা। পুলিশ বাহিনীতে কাজ করা আরেক আফগান মহিলাককে গুলি করে তারপর চোখ উপরে নিয়েছিল তারা। তবে শুধু মহিলাদেরই নয়, প্রতিশোধ না নেওয়ার কথা বলেও, সরকারি কর্মীদের কাউকেই তারা ছাড়ছে না। 
 

810

২০১৮ সালে ভারতে পালিয়ে আসা আরেক আফগান মহিলা জানিয়েছেন, তালিবানরা তাঁর বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছিল, কারণ তিনি পুলিশের হয়ে কাজ করতেন। তাঁর কাকাকেও গুলি করা হয়েছিল, কারণ তিনি ছিলেন আফগান জাতীয় সেনাবাহিনীর একজন ডাক্তার। এরপরই প্রাণভয়ে তিনি ভারতে চলে এসেছিলেন। 
 

910

সম্প্রতি, এক প্রাক্তন আফগান মহিলা বিচারপতি অভিযোগ করেছেন, তালিবানরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের জন্য রান্না করে দিতে বাধ্য করছে মহিলাদের। সম্প্রতি এক মহিলাকে তারা পুড়িয়ে মেরেও ফেলেছে। তাদের অভিযোগ ছিল, তাঁর রান্না করা খাবার যথেষ্ট সুস্বাদু হয়নি। এক আফগান জাতীয় সেনাবাহিনীর মহিলা পাইলটকে পাথর ছুড়ে আঘাত করে করে মারা হয়েছে।
 

1010

আফগানিস্তানে একমাত্র মেয়েদের বোর্ডিং স্কুল হল, স্কুল অব লিডারশিপ আফগানিস্তান। এই স্কুলের অধ্যক্ষা তথা র সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেন শাবানা বাসিজ-রশিখ। তালিবানরা দেশ দখল করতেই তিনি, স্কুলের সমস্ত ছাত্রীদের নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ওই শিক্ষার্থীদের এবং তাদের পরিবারকে তালিবানদের হাত থেকে রক্ষা করা। পড়াশোনার প্রমাণ পেলে, ওই পরিবারগুলির উপর তালিবানি হামলা নেমে আসত। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos