করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে গত টানা ৭ মাস ধরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত উদ্বেগের কোনও শেষ নেই। প্রথম দিকে দাবি করা হয়েছিল এটি অনেকটা নিউমোনিয়ার মত । কিন্তু বর্তামানে দেখা গেছে করোনাভাইরাস মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রভাব ফেলতে পারে। তেমনই কতগুলি উপগর্সের কথা এখানে তুলে ধরা হল। তবে গবেষকদের মতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে প্রভাব পড়তে পারে স্নায়ুতন্ত্রেও।
করোনাভাইরাস বয়স বিচার করেনা । তেমনই যেকোনও জনগোষ্ঠীর মানুষই এই মারাত্মক ছোঁয়াতে ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে এই জীবাণুটির চরিত্র বেশ উদ্ভট। কারণ উপসর্গ যুক্ত রোগীর সন্ধান যেমন পাওয়া গেছে তেমনই উপসর্গবিহীন রোগীও রয়েছে।
27
করোনাভাইরাস যে কোনও মানুষের মাথা থেকে পা পর্যন্ত যে কোনও জায়গায় প্রভাব ফেলতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণতে সংক্রমিতের মধ্যে জ্বর, গলায় সংক্রমণ, ক্লান্তি এই লক্ষণগুলি ফুটে ওঠে। কিন্তু এটি সর্বদা হয় না।
37
অনেকসময় দেখা গেছে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেও আক্রান্তের জ্বরা বা গলা ব্যাথা থাকে না। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন প্রবল মাথা যন্ত্রণা বা গায়ে হাতে ব্যাথাও করোনা সংক্রমণের একটি লক্ষণ।
47
করোনা আক্রান্ত রোগীরা মোটের ওপর গন্ধ আর স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকেন। খাবারে অনীহাও একটি গুরুতর লক্ষণ। সংক্রমিত ব্যক্তির স্নায়ুতন্ত্রও প্রভাবিত হতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে গবেষকদের পক্ষ থেকে।
57
নিউরোলজির অ্যানালসএর প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে শুকনো কাশি, গলা জ্বালা, জ্বর-এর মত উপসর্গ ছাড়াও আক্রান্তদের মধ্যে মাথার ঘোরার উপসর্গও রয়েছে। স্ট্রোকের বিষয়ও সতর্ক করা হয়েছে। খুঁচুনির মত স্নায়বিক রোগের প্রকোপও দেখা দিচ্ছে আক্রান্তগের মধ্যে।
67
77
নর্থ ওয়েস্ট মেডিসিনের পক্ষ থেকে এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইগর কোলালনিক। যিনি স্নায়ুতন্ত্রণের অধ্যাপকও। তিনি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসকদেরও সতর্ক করেছেন। বলেছেন,কাশি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ার আগে স্নায়বিক লক্ষণগুলির ওপর জোর দেওয়া উচিৎ।