Published : Sep 18, 2020, 08:09 PM ISTUpdated : Sep 20, 2020, 10:36 AM IST
করোনাভাইরাসের পর এবার ব্রুলেলোসিসের সংক্রনণে লাল চোখ দেখাচ্ছে চিনকে। এই ব্যাকটেরিয়া রোগে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গত বছর সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা প্রতিষেধক তৈরি করছিল। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে আশঙ্কা করছে চিন।
করোনাভাইরাসের ফাঁড়া এখনও পুরোপুরি কাটেনি চিনে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জীবন। খুলতে শুরু করেছে স্কুল কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন বিদপ দানা বাঁধতে শুরু করেছে চিনে।
210
ব্রুসেলোসিস নামে এক ব্যাকটেরিয়া বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেশা গেছে উত্তর পশ্চিম চিনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
310
৩২৪৫ জনের দেহে ইতিমধ্যেই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। আক্রান্তদের মূল লক্ষ্ণণই হল জ্বর, গ্যাঁটে ব্যাথা আর মাথায় ব্যাথা।
410
নতুন করে ১৪০১ শরীরে এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখতে পাওয়া গেছে। তবে স্বাস্থ্য দফতর আশ্বস্ত করেছে এখনও ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে এই রোগ সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়নি।
510
চিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে এই রোগ মূলত প্রাণির দেহ থেকে ছড়িয়ে পড়ে। যাঁরা সংক্রমিত তাঁরা কোনও না কোনও ভাবে আক্রান্ত প্রাণিদের সংস্পর্শে এসেছেন।
610
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে একটি আশঙ্কার কথা রয়েছে, সেটি হল এই রোগে আক্রান্ত পুরুষদের শুক্রাণু সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু পুরুষকে বান্ধ্যত্বের জন্যএই এই ব্যাক্টেরিয়া দায়ি থাকতে পারে। প্রাণিদের জন্য এই প্রতিষেধক তৈরি করা হচ্ছিল।
710
চিনা প্রশাসন জানিয়েছে গত বছর সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল প্ল্যান্ট জুলাই আর অগাস্ট মাসে ব্রুসেলা প্রতিষেধক তৈরির জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ জীবাণুনাশক ব্যবহার করেছিল। আর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারনি। শূকর প্রভূতি প্রাণির দেহে এইজাতীয় ব্যাকটেরিয়া দেখতে পাওয়া যায়।
810
চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে প্রথমে মনে করা হয়েছিল খুব অল্প মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। পরবর্তীকালে ২১ হাজার মনুষকে পরীক্ষা করা হয়েছে। দেখা গেছে সংখ্যাটা অনেক বেশি।
910
যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য চিন প্রশাসন ইতিমধ্যেই সতর্কতা গ্রহণ করেছে। সতর্ক করা হয়েছে প্রতিবেশী প্রদেশগুলিকে।
1010
গতবছরই চিনের উহান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। তারপরই তা অতিমারির আকার ধারণ করে। যা নিয়ে এখনও আতঙ্কে রয়েছে বিশ্বের বহুদেশ।