নিজেদের জালেই আটকে যাচ্ছে নেপাল-চিন, রাষ্ট্রসংঘে ভারত বিরোধী পদক্ষেপ হতে চলেছে বুমেরাং

রবিবারই জানা গিয়েছিল কে পি শর্মা ওলি-নেতৃত্বাধীন নেপাল সরকার যে নতুন নেপালি মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তা গুগল সংস্থা এবং রাষ্ট্রসংঘের কাছে পাঠানো হবে। তবে নেপাল সরকারিভাবে সেই ম্য়াপ পাঠালেও নিউইয়র্কের রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতর সূত্রে খবর সেই মানচিত্র এই আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্রহণ করলেও তাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। তবে এই মানচিত্র পাঠানোর দৌলতে নেপাল নিজেদের তৈরি জালেই আটকে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাষ্ট্রসংঘের কূটনীতিকরা।

 

amartya lahiri | Published : Aug 3, 2020 9:46 AM IST / Updated: Aug 19 2020, 11:42 AM IST

15
নিজেদের জালেই আটকে যাচ্ছে নেপাল-চিন, রাষ্ট্রসংঘে ভারত বিরোধী পদক্ষেপ হতে চলেছে বুমেরাং

রাষ্ট্রসংঘের ওই সূত্র জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘে নেপাল তাদের নতুন মানচিত্র পাঠালে, তা সরকারি ভাবে গ্রহণ করা হবে ঠিকই। কিন্তু, রাষ্ট্রসংঘের প্রকাশিত কোনও মানচিত্রে বা তাদের সরকরি ওয়েবসাইটের কোথাও নেপালের দাবি করা নতুন এলাকাগুলিকে নেপালের অঞ্চল বলে দেখানো হবে না।

 

25

এর কারণ, রাষ্ট্রসংঘ নিজেদের মানচিত্র নিজেরাই তৈরি করে। প্রতিটি মানচিত্রের নিচেই লেখা থাকে, মানচিত্রে যে সীমানা এবং এলাকার নাম দেখানো এবং যে পদবি ব্যবহার করা হয়েছে তা রাষ্ট্রসংঘের সরকারি অনুমোদন বা স্বীকৃতি পায়নি। ভারত, পাকিস্তান, চিন বা অন্য যে কোনও দেশের, যাদের সীমান্ত নিয়ে বিবাদ রয়েছে তাদের প্রত্যেকের দাবি করা মানচিত্রে এই বিষয়টি পরিষ্কার করা থাকে। আর রাষ্ট্রসংঘ তাদের নিজেদের মানচিত্রে সীমানা নির্ধারণ করে কোনও এলাকার প্রশাসনিক দখলের ভিত্তিতে।

 

35

নতুন নেপালি মানচিত্রে লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ এবং কালাপাণী - এই তিনটি অঞ্চল সংযোজিত হয়েছে। এই তিনটি অঞ্চলই ভারতের উত্তরপ্রদেশের অবস্থিত। এই এলাকাগুলির দখল নিয়ে নেপালের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। নেপালের এই নয়া পদক্ষেপকে ভারত 'একতরফা' হিসাবে অভিযুক্ত করে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল। বলেছিল এটা, 'অযৌক্তিক মানচিত্রগত দাবি'।

 

45

মজার বিষয় হ'ল নেপাল তাদের নতুন মানচিত্রটি জমমা দিলে ভারতের এই অভিযোগই স্বীকৃতি পেতে পারে বলে মনে করছেন রাষ্ট্রসংঘের কূটনীতিকরা। কারণ, নেপাল এর আগে রাষ্ট্রসংঘের কাছে যতবার তাদের মানচিত্র পেশ করেছে, কোনওবারই লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ এবং কালাপানি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। কাজেই হঠাৎ করে এই দাবি তুললে তা নয়াদিল্লির মতো রাষ্ট্রসংঘেও 'অযৌক্তিক' বলে প্রমাণিত হতে পারে।

 

55

নতুন মানচিত্রের প্রস্তাবনা নেপালি সংসদে পেশ হওয়ার পরই এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। তাদের আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছিল। তারপরও নেপালি সংসদে সেই খসড়া মানচিত্র প্রকাশ করা হয়। এর পিছনে চিনের আস্কারা রয়েছে বলে মনে করছে ভারত। এমনকী নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির একটা বড় অংশও, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নেই।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos