সকাল থেকে পেটে খাবার নেই। স্নান করানোর পর কুনকি হাতিদের শরীরে আঁকিবুঁকি কাটলেন মাহুতরা। বৃহস্পতিবার বিশ্বকর্মার বাহনদের পুজো দেখতে পর্যটকরা ভিড় করেছিলেন ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকে গাছবাড়ি এলাকায়।
Asianet News Bangla | Published : Sep 17, 2020 1:11 PM IST / Updated: Sep 17 2020, 06:43 PM IST
করোনা আতঙ্কের মাঝে কি এবার তিথি নক্ষত্রের হিসেবও পালটে গেল? বৃহস্পতিবার ভোরে রেডিও থেকে ভেসে এল মহালয়ার চণ্ডীপাঠ, বেলা বাড়তে আবার শুরু হয়ে গেল বিশ্বকর্মা পুজোও! আর দুর্গাপুজো? একমাস পর।
যেদিন রাজ্যের সর্বত্র পুজো পান যন্ত্রের দেবতা বিশ্বকর্মা, সেদিন কিন্তু বঞ্চিত থাকে না হাতির দল অর্থাৎ বিশ্বকর্মার বাহনও। প্রতিবছর নিয়ম মেনে কুনকি হাতিদের পুজো করা হয় উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্তে।
সবচেয়ে বড় পুজোটি হয় জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের গাছবাড়ি এলাকায়। সকালে প্রথমে কুনকি হাতিদের স্নান করানো হয়। পুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের দেওয়া হয় না খাবার। এমনকী, উপোস করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
চক দিয়ে শরীরে নাম লেখার পর একে একে কুনকি হাতিদের আনা হয় পুজো মণ্ডপে। যাবতীয় রীতি ও আচার মেনে মন্ত্রোচরণ করে পুজো করেন পুরোহিত।
ডুয়ার্সে বেড়াতে এসে এই অভিনব পুজো দেখার সুযোগ হাতছাড়া করেন না পর্যটকরাও। প্রতিবছর বিশ্বকর্মার পুজোর দিন ভিড় জমে যায় মেটেলি ব্লকের গাছবাড়িতে। করোনা আতঙ্কের মাঝে ব্যতিক্রম ঘটল না এ বছরও।