Coronavirus: আচমকাই দৈনিক আক্রান্ত দ্বিগুনেরও বেশি কলকাতায়, কোভিড গ্রাফ উর্ধ্বমুখী রাজ্যে

 কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের দাপট আগের থেকে কমেছে রাজ্যে।  মৃত্যুর সংখ্যাও আগের থেকে কমলেও গত ২৪ ঘন্টায় ফের বেড়েছে। কোভিডে এখনও মৃত্য়ু হচ্ছে বাংলার ৬ জেলায়। 

মৃত্যুর লিস্টে সেই ৬ জেলার লিস্টে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা। যদিও মৃত্য়ুর অভিশাপ মুক্ত এখনও হতে পারেনি দার্জিলিং, কালিংপং, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর,হুগলি।

বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৭ জন। তবে এবার কলকাতা, জলপাইগুড়ি,  জেলা মৃত্যু শূন্য হয়েছে।

বুধবারের  স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী,  উত্তর ২৪ পরগণায় ২ জন এবং দার্জিলিং, কালিংপং, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর,হুগলি জেলায়  ১ প্রাণ হারিয়েছেন।

বাংলার গ্রামে ৫০ শতাংশ টিকাকরণ না হলে চলবে না লোকাল ট্রেন। বুধবারই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই   ভ্য়াকসিনের সংখ্য়া যত বাড়বে, ততোই আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমবে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

বুধবারের  স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী,  কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা  এক লাফে ৩২ থেকে বেড়ে ৮৬ জন। এবং এখানে মোট  সংক্রমণের সংখ্যা ৩১১,৬৮৭ জন এবং  মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৯০ জন। 

 এবারও  রাজ্যের সব জেলার থেকে এবারেও সংক্রমণ নিয়ে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা। তবে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ এর নীচে নেমেছে।  স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ জন। দার্জিলিং একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ জন। 

বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী,   একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৬৪৬ জন । যা আগের থেকে অনেকটাই কমেছে।  পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া  ৯,৭১৫ জন।

তবে এই মুহূর্তে কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়েছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে হাসপাতাল গুলি।  স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৬০ জন।  বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫, ১২,২১৮ জন। 
 

  স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারী সুস্থতার হার পেরিয়ে ৯৭ শতাংশ হয়েছিল। তারপর  দ্বিতীয় তরঙ্গে  ফের পতন হয়। মার্চের পর থেকে। তবে এরপর অভিশপ্ত প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গিয়েছে।  স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে  সুস্থতার হার একদিনে এখনও ৯৮.১৮ শতাংশ।