আরও এক বাঙালির নোবেল প্রাপ্তি, কলকাতা থেকে তালিকায় আছেন আর কারা
কলকাতা থেকে এবছর আরও এক বাঙালির নোবেল প্রাপ্তি
মাদার টেরেজা ১৯৭৯ সালে শান্তির নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন।
অমর্ত্য সেন ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার পান।
১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথকে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়।
Ritam Talukder | Published : Oct 14, 2019 1:50 PM IST / Updated: Oct 14 2019, 07:22 PM IST
স্যার রোনাল্ড রস, ম্যালেরিয়া রোগের ওষুধ আবিষ্কারে ১৯০২ সালে নোবেল পুরস্কার পান। কলকাতার সঙ্গে তাঁর সহযোগিতা ১৮৮২ সাল থেকেই, যখন তিনি প্রেসিডেন্সি জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ম্যালেরিয়া উপর কাজ করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর , একজন কবি, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, অভিনেতা, গায়ক, সুরকার ও আধুনিক দার্শনিক। রবীন্দ্রনাথের ভারতীয় সাহিত্য ও শিল্পকলার অবদান বর্ণনা করার মতো কথা নয়। যদিও তিনি আট বছর বয়স থেকেই কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন, তবে তিনি ৫২ বছর বয়সে ১৯১৩ সালে তাঁকে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়।
মাদার টেরেজা যিনি, জন্মগতভাবে একজন আলবেনিয়ান এবং আর অন্তর থেকে একজন কলকাতার মানুষ । তিনি তাঁর জীবন বাংলার দরিদ্র ও দরিদ্র শিশুদের জন্য উত্সর্গ করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি শান্তির নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন।
স্যার সি ভি রমণ অর্থাৎ যার পুরো নাম স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন। পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসাবে দীর্ঘকালীন চাকরি করার পরেও তিনি কলকাতায় অবস্থিত ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সে গবেষণা চালিয়ে যান।তারপর ১৯৩০ সালে পদার্থবিজ্ঞানের জন্য তিনি নোবেল পেয়েছিলেন।
অমর্ত্য সেনের প্রধান অবদান ছিল কল্যাণ অর্থনীতি, উন্নয়ন অর্থনীতি এবং নীতিশাস্ত্রে। তবে, কল্যাণ অর্থনীতিতে তাঁর কাজ করার কারণে ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনৈতিক বিজ্ঞানের নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য কীভাবে কমানো যায় তাই নিয়ে পরীক্ষামূলক পদ্ধতি চালান। আর এরজন্যই নিয়ে কাজ করার জন্য এই বছর ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে তাঁকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।