CM Mamata Banerjee: বাংলার পর মমতার নজরে দিল্লি জয়, জন্মদিনের আবহে ফিরে দেখা ‘দিদির’ রাজনৈতিক উত্থান

রাজনীতির আঙিনায় পথচলা শুরু ছাত্রাবস্থাতেই। সিপিএম(CPIM) জমানার অপশাসন ও সন্ত্রাসের অবসান ঘটানো এবং বাংলার উন্নয়ন(Development of Bengal), এই প্রাথমিকতা থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম তাঁর হাত ধরেই। কথা হচ্ছে বাংলার লড়াকু নেত্রী, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়কে(Trinamool supremo Mamata Banerjee)। নিয়ে এদিকে ১লা জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস(Trinamool Foundation Day) উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সমস্ত দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গিয়েছে মমতাকে। কিন্তু বাংলার এই অগ্নিকন্যার জন্মদিন আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন পরে। আসছে ৫ জানুয়ারি। দিদির জন্মদিনকে(Mamata Banerjee Birthday) স্মরণীয় করে রাখতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।

১৯৫৫ সালে ৫ জানুয়ারি কলকাতায় জন্ম মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। সেই হিসাবে ২০২২ সালে ৬৭-র গণ্ডি ছুঁতে চলেছেন তিনি। তিনিই দেশের প্রথম মহিলা রেলমন্ত্রী।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হাওয়ার আগে দুবার কেন্দ্রী রেল মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। রাজ্য হোক বা জাতীয়, সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য রাজনীতিতে বরাবরই আলাদা পরিচয় রয়েছে মমতার।

অন্যদিকে তাঁর সমর্থক ও অনুগামীদের কাছে মমতা 'দিদি' নামেই বেশি পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০১২ সালে 'বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০জন ব্যক্তি'-র তালিকায় জায়গা দিয়েছিল 'টাইম' ম্যাগাজিন। চলতি বছরেও এই তালিকায় ফের উঠে আসে মমতার নাম।

অন্যদিকে রেল মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি কয়লা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া এবং নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সমস্ত মন্ত্রকগুলিতে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

১৯৯৭ সালের ২১ জুলাই ধর্মতলায় যুব কংগ্রেসের সমাবেশ থেকে সিপিএমের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াইয়ের ডাক। কিন্তু  বামফ্রন্ট জমানায় কংগ্রেস নানা কারণে সিপিএমের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনে যাচ্ছিল না। সে অচলাবস্থাকে ডাল করেই ১৯৯৮ সালে মমতা তৈরি করে ফেলন তৃণমূল-কংগ্রেস। সেই শুরু লড়াইয়ের এক নতুন অধ্যায়ের।

নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে টালির ঘরে থেকে ভাইবোন সামলে, পিতৃবিয়োগের পর রোজগারের লক্ষ্যে সকাল থেকে পরিশ্রম করে নিয়েছেন রাজনীতির পাঠ। বসেছেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেত্রীর আসনে। পরবর্তীতে বসছে একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে। এবার লক্ষ্য দিল্লি জয়। প্রধান মন্ত্রী মসনদ।

২০০৮ সালে পঞ্চায়েত ভোট ঘাসফুল ঝড়ের পর তাঁর নেতৃত্বেই ২০১১ সালে বাংলায় ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল-কংগ্রেস। ২০১৬ সালে ফের তাঁর কাছে ধরাশায়ী হয় বাম-কংগ্রেস জোট। এমনকী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রবল গেরুয়া উত্থানেরও মাঝেও বিজেপি ব্রিগেডকে ১০০ গণ্ডিও পেরোতে দেননি মমতা।  

ইতিমধ্যেই মমতার নেতৃত্বেই বাংলা ছাড়াও গোয়া, অসম, ত্রিপুরা, হরিয়ানায় সংগঠন বিস্তারের কাজ শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। তাঁর হাত ধরেই সর্বভারতীয় মঞ্চে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে সমাজের সব পেশার মানুষকে এক রাজনীতির ছাতার তলায় নিয়ে আসতে মমতার জুড়ি মেলা ভার।  আন্দোলনে, মঞ্চে, পুরসভায়, পঞ্চায়েতে, বিধানসভায়, সংসদে কৃষক, শ্রমিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিক্ষক থেকে খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সকলেই রয়েছে তৃণমূল শিবিরে।