debamoy ghosh | Published : Oct 29, 2019 11:36 AM IST / Updated: Oct 29 2019, 05:19 PM IST
মমতার ঘরে প্রবেশের পরে প্রথমে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করেন। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে বেশ কিছু চকোলে়ট তুলে দেন শোভনের বান্ধবী। জবাবে মমতা বলেন, 'এত চকোলেট আমি কী করব? আমার সুগার বাড়াবি নাকি? এর পরেই সেই চকোলেটগুলি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে দেন মমতা।
এর পরেই মমতাকে প্রণাম করেন শোভন। বলেন, 'কেমন আছ দিদি?' জবাবে হাসিমুখেই মমতা বলেন, 'তুই কেমন আছিস? শরীর কেমন আছে? ভুঁড়িটা বেড়েছে কি?'
জবাবে শোভন বলেন, 'সেটা বলতে পারছি না। তবে আমার সাত থেকে আট কেজি ওজন কমেছে।'
শোভনের ওজন কমেছে শুনেই পর পর কয়েকটি ওষুধের নাম বলে দেন মমতা। সেই ওষুধগুলি খেতে বলেন শোভনকে।
এবার শোভন বলেন, 'এতদিন ধরে আসছি, তাই না এসে পারলাম না।' এর পরে অবশ্য শোভনকে ফোঁটা দেন মমতা। পরে অবশ্য তিনি নাকি ঘনিষ্ঠ বলেন, 'কেউ যদি নিজে থেকে আসে তাঁকে তো বারণ করতে পারি না।'
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে মন্ত্রিত্ব এবং মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভন। এর পর থেকে তৃণমূল এবং মমতার সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছিল। ২০১৯ সালে ১৪ অগাস্ট বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে অবশ্য বিজেপি-তেও কোণঠাসা হয়েই ছিলেন শোভন এবং তাঁর বান্ধবী।
২০২০ সালে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। তার আগে মমতার বাড়িতে শোভনের যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি-ও।