করোনার মাঝেও ব্যস্ততা তুঙ্গে, মহামারীকে সঙ্গে নিয়েই উপস্থিত আরও এক উৎসবের মরসুম। ফিকে হয়ে থাকা শহর থেকে রাজ্যের প্রতিটা ওলিগলির আরও একবার সেজে ওঠার পালা। তবে প্রথম থেকেই দূর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে ছিল না তেমন জাঁক-জমক, ফলে বেশ কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় প্রতিমা নির্মাতাদের। বিষয়টা ঠিক কেমন!
মহালয়ার (mahalaya 2021) দিন সারা রাত ব্যস্ততা তুঙ্গে। বছরভর বৃষ্টি, পুজোর এক সপ্তাহ আগেও ভয়ানক বর্ষা দেখেছে শহর (Kolkata) শরতেই। যার ফলে ঠাকুর (Durga Idol) তৈরি বা শুকনো করতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয়।
29
বেগ পেতে হয় কুমোরটুলির (Kumartukli) ঠাকুরের বায়নার ক্ষেত্রেও। প্রতিমা শিল্পীদের মতে প্রথমে এতটা বায়না ছিল না, পরবর্তীতে প্রমিতার ওডার বেড়েছে, তবে দাম খুব একটা হেরফের হয়নি চলতি বছরে।
39
কুমোরটুলিতে তাই শেষ বেলায় ব্যস্ততা তুঙ্গে। তড়িঘড়ি ঠাকুর শুকনো করার কাজ সেরে শনিবারের মধ্যে তৈরি করে ফেলা। অনেক ঠাকুর শনি ও রবিবার মণ্ডপে চলে গিয়েছিল। তবে অধিকাংশটাই রাখা ছিল মহালয়ার রাতের জন্য।
49
এদিন রাত জাগার পালা, সারা রাত ঠাকুর আনা নেওয়া হল মণ্ডপে মণ্ডপে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ছিল মোতায়িত। ভোরে মহালয়া শোনার সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার ঠাকুর পাড়ায় ঢোকার চল আজও রয়েছে কলকাতার বুকে।
59
আর সেই সুবাদেই কুমোরপাড়াতে এদিন ভিড় ছিল উপচে পড়ার মত। কুমোরটুলিতে এদিন অষ্টমীর রাত বলা চলে। কারণ, যখন মণ্ডপে সেজে ওঠে উমা, তখন ফাঁকা কুমোরপাড়া।
69
প্রতিমার সাইজ থেকে শুরু করে সাজ, সবটাতেই নজরে এলো সাধারণ বছরের মতই চাকচিক্য। ২০২০ থেকে ২০২১-এর জৌলুস বেশ খানিকটা বেশি। করোনা ভয় অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা গেছে।
79
তবে বেড়েছে জিনিসের দাম, তাই সামান্য হলেও বেড়ে প্রতিমার দামও। তবে সেই হারে বাড়েনি পারিশ্রমি, তাতে কোনও আক্ষেপ নেই শিল্পীদের। কারণ, পুজো ফিরুক নিজের ছন্দে, এটাই এখন তাঁদের কামনা।
তবে করোনা কোপে যে প্রতিমা দর্শণে বাধা, তা নিয়ে অনেকেরই ছিল মাথায় হাত, তবে অধিকাংশ মণ্ডপের দরজাই খুলে দেওয়া হচ্ছে তৃতীয়া থেকেই। তাই অনেকটা সময় পাওয়া যাবে প্যান্ডেল হপিং-এর।