বাঙালির ভ্যালেন্টাইন শুরু হয় সরস্বতী পুজো দিয়ে আর শেষ হয় ভ্যালেন্টাইন ডে দিয়ে। সরস্বতী পুজোর দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় ভ্যালেন্টাইন -এর আমেজ। আর ফেব্রুয়ারি মাস পড়তে না পড়তেই শহরজুড়ে প্রেমের মরশুম। কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে ভালবাসার দিন উৎযাপন। শহরে আকাশে, বাতাসে , চারিদিকে শুধু প্রেম প্রেম রব। রোজ ডে, প্রপোজ ডে , চকোলেট ডে, টেডি ডে, প্রমিস ডে-র পর আজ হল কিস ডে । আজ হল সেই বিশেষ দিন। ভালবাসার সেরা অভিব্যক্তি হল চুমু। যে চুমু ভালবাসা, স্নেহ, মমতা, ও উষ্ণতার চিহ্ন। কিন্তু আজকের দিনে শুধু চুমু খেলেই হল না। চুমুর আলাদা নাম, ভাষা, তার ব্যবহার রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন। যা জানা সবার আগে জরুরি। আর এই চুমুর ভাষা যখন বদলে যায় তার প্রকাশের ধরণেও রদবদল ঘটে। আজকের এই বিশেষ দিনে রইল ভিন্ন স্বাদের চুমুর সন্ধান।
Riya Das | Published : Feb 13, 2020 8:48 AM IST / Updated: Feb 13 2020, 02:32 PM IST
ফোরহেড কিসঃ ফোরহেড কিস যে কোনও কাউকেই অনায়াসে করা যেতে পারে। নিজেদের ভালবাসার বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে এই কিস খুব ভাল অপশন।
হ্যান্ড কিসঃ কিসের যত ধরণ রয়েছে তার মধ্যে এটি ভীষণভাবে জনপ্রিয়। একজন অপরজনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে অনেকেই এই কিসটা করে থাকে। হাতের তালুর উপর এই চুমুর বিশেষ ব্যবহারও রয়েছে। নিজের প্রেমিকাকে প্রপোজ করার ক্ষেত্রে এর চেয়ে আর ভাল অপশন আর কী-ই বা হতে পারে।
চিক কিসঃ এই কিসটাও খুবই সাধারণ। একে অপরের গালে চুম্বন করাকেও বলা হয় চিক কিস। এটা খুবই ফ্রেন্ডলি একটা কিস। যার দ্বারা আপনার পজিটিভ দিকটিও প্রকাশ পাবে।
এসকিমো কিসঃ চুমু খাওয়ার সময় যদি একে অপরের সঙ্গে নাক ঘষাঘষি করেন তাকেই বলা হয় এসকিমো কিস। এই ধরনের কিস খুবই স্নেহের নয়। শুধু ভালবাসার মানুষই নয়, যে কোনও পছন্দের মানুষের সঙ্গেই এই কিস করতে পারেন।
এঞ্জেল কিসঃ নামের সঙ্গে এই কিসেরও একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এক্ষেত্রেও তাই। এই চুমুর অভিব্যক্তিতে গভীর ভালবাসা ও স্নেহ জড়িয়ে রয়েছে। চোখের পাতায় আলতো চুমুকেই বলা হয় এঞ্জেল কিস।
ইয়ারলোব কিসঃ এই কিসটি ভীষণ সেনসিটিভ। রোম্যান্টিক এবং অন্তরঙ্গতা বোঝানোর ক্ষেত্রে এই কিস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। মিলনের প্রথম ধাপে এই কিস অনেকেই করে থাকেন।
সিঙ্গল লিপ কিসঃ এটা খুবই নর্মাল একটি কিস। এই কিস করার সময় একটা ঠোঁটের উপর আরেকটা ঠোঁট রেখে আলতো করে প্রেস করা হয়।
মার্ক কিসঃ এটা এমন একটি কিস যেটা করলে কোনও না কোন দাগ থেকে যায়। খানিকটা লাভ বাইটও বলা যেতে পারে এই কিসকে।
সিডাক্টিভ কিসঃ এই কিস করেই একে অপরকে সিডিউস করা হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে কিংবা মুখের যে কোন জায়গায় এই কিস করা হয় হয়। তবে এই কিস করার সময় জিভের কোনও ব্যবহার হয় না।
ফ্রেঞ্চ কিসঃ কিসের মধ্যে সবচাইতে রোমান্টিক এই ফ্রেঞ্চ কিস। নিজের প্যাশন ও রোম্যান্স বোঝানোর জন্য এই কিস একদম পারফেক্ট। এই ফ্রেঞ্চ কিস করার সময় জিভের ভূমিকা সবচাইতে বেশি থাকে।
স্পাইডারম্যান কিসঃ অনেকেই হয়তো ভাবতে এ আবার কেমন কিস। স্পাইডারম্যান সকলেই দেখেছেন। আর এই কিসটাও ঠিক সেরকমই। দুজনের মধ্যে একজন আপসাইড ডাউন থাকলেই তাকে বলা হয় স্পাইডারম্যান কিস।
লিজার্ড কিসঃ কিসের মধ্যে সবচাইতে হট হল এই লিজার্ড কিস। এককথায় হট কিসও বলা যেতে পারে। একে অপরের জিভের স্ট্রোকে এই কিস করা হয়। দুজনের জিভ দিয়ে ক্রমশ একে অপরকে চুম্বন করাকেই লিজার্ড কিস বলা হয়।
নিবল কিসঃ ভালবাসার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কিস। অনেকক্ষণ ধরে গভীর ভাবে একে অপরের সঙ্গে দুই ঠোঁটের মিলনকে নিবল কিস বলা হয়।
ভ্যাম্পায়ার কিসঃ নামটা শুনে ভ্যাম্পায়ারের মুখ ভেসে উঠলেওব এ আসলে তা নয়। কিন্তু ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে এর বেশ মিল রয়েছে। গলায় বা ঘাড়ে গভীর চুমুকেই বলা হয় ভ্যাম্পায়ার কিস। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অবস্থায় এই কিসে মত্ত থাকে বেশিরভাগ যুগলরা।