দোল হোক বা হোলি শুধু নামেই তফাৎ, উৎসবের বিশেষত্ব একই। সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে শুধু উৎসবের রঙে রাঙিয়ে তুলুন নিজেকে। প্রকৃতি ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে, কৃষ্ণচুড়া, রাধাচুড়া, শিমুল, পলাশ নানান ফুলে। তাই এই সুন্দর উৎসবে সুস্থ থাকতে বাজারে পাওয়া সস্তা রাসায়নিকযুক্ত রঙ-কে বলুন না।
deblina dey | Published : Mar 7, 2020 10:16 AM IST
প্রতি বছর দোলের পরে পরেই দেখা দেয় ত্বক ও শ্বাসকষ্টের মত নানান সমস্যা। রাসায়ানিকের প্রতিক্রিয়ার ফলে ছোটদেরও নানান সমস্যার শিকার হতে হয়। এই কারণেই রাসায়নিক ভুলে প্রকৃতির রঙেই ভরসা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
রাসায়নিক রঙ-এর ব্যবহারের ফলে র্যাশ, এগজিমা, ছাড়াও শ্বেতির মতো ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। সোরিয়াসিস থাকলে তার প্রভাবও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কারণ রঙে যে ধরণের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই সেই রঙ কোনওভাবে নাকে বা মুখে প্রবেশ করলে তার ফল হতে পারে মারাত্মক। এছাড়া গাঢ় রঙে বেশি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আবার ত্বক থেকে রঙ তুলতে গিয়ে অতিরিক্ত সাবানের ব্যবহারের ফলে ত্বক আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
ঠিক এই অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা পেতে উৎসবে মেতে উঠুন ভেষজ রঙে। এই কারণে বিভিন্ন গাছের ফল, ফুল ও পাতা দিয়ে রং তৈরি করে এমন বহু সংস্থা রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও ভেজষ রং তৈরি করে বিক্রি করেন পড়ুয়ারা।
জবা, গাঁদা, অপরাজিতা আরও নানা থেকে রং তৈরি করেন তাঁরা। তবে অনেকেই এখন স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার কারণে ভেষদ রঙের চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপনিও চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন ভেষজ রঙ নামী কোম্পানির হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে বেসন মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন হলুদ আবির। লাল চন্দনের সঙ্গে সমপরিমাণে ময়দা মিশিয়ে বানিয়ে নিন লাল আবির।
বর্তমানে অনলাইনেও এই ভেষজ রঙ বিক্রি শুরু হয়েছে। এই সব রঙের মূল উপাদান বিভিন্ন গাছের পাতা, ফলমূলের সঙ্গে মূল ভিত হিসেবে ব্যবহার করা হয় ময়দা।
ভেষজ রঙের জন্যে হলুদ, বিট, নানান ধরনের ফল, নানান গাছের কচি পাতা ও ফুল, পুদিনা পাতা, পালং শাক, লাল চন্দন কাঠ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ময়দার সঙ্গে এই সমস্ত ভেষজ রঙ মিশিয়ে রঙ তৈরি করা হয়।
আর এই রঙ ত্বকে লাগলে তাতে শারীরিক সমস্যার কোনও রকম সুযোগ থাকে না। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভেষজ রঙ দিয়েই মেতে উঠুন বসন্ত উৎসবে।