মহামারীতে মৃত্যু দেখেছিল ঠাকুর পরিবারও, জানুন সেই মৃত্যযন্ত্রণার কাহিনি

Published : May 08, 2020, 11:11 AM ISTUpdated : May 08, 2020, 11:56 AM IST

আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯ তম জন্মবার্ষিকী। রবীন্দ্রনাথ মানেই বাঙালির এক অন্য আবেগ, অনুভূতি কাজ করে। কিন্তু করোনা আবহে এ  বছর কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে এই অনুষ্ঠান।  সারা বিশ্ব এখন কোভিড-১৯ মহামারী সঙ্গে আপ্রাণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও প্রতি ১০০ বছর অন্তরই এই মহামারী ফিরে এসেছে। মহামারীকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। তবে শুধু দেখা নয়, মৃত্যু যন্ত্রণাও ভোগ করেছিলেন তিনি। নিজের প্রিয় আপনজনকে হারিয়েওছিলেন তিনি। জানুন সেই নির্মম কাহিনি।

PREV
110
মহামারীতে মৃত্যু দেখেছিল ঠাকুর পরিবারও, জানুন সেই মৃত্যযন্ত্রণার কাহিনি


সালটা ১৯১১। একের পর এক মহামারীর প্রকোপ যেন ক্রমশই বেড়েই চলেছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম হল প্লেগ,কালাজ্বর, কলেরা।

210

সেসময় কলকাতায় ছড়িয়ে পড়েছিল প্লেগ রোগ। শুধু ছড়িয়ে যাওয়া নয়, এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছিল যে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুও বাড়িছাড়া হয়েছিলেন।

310

বাড়ি ছাড়ার পর আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রবীন্দ্রনাথকে চিঠির মাধ্যমে সেকথা জানিয়েওছিলেন। এমনকী নতুন ঠিকানাও জানিয়েছিলেন।

410


তখনও পর্যন্ত কোনও টিকা আবিষ্কার হয়নি। এদিকে প্লেগ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সারা শহর জুড়ে। আক্রান্ত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু। চিকিৎসার কোনও সুযোগও দেয়নি এই মহামারি।

510


এই মহামারী পৌঁছেছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতেও। বাড়ির দুই মেথর প্রথম এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপরই চিন্তিত হয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ।

610


চারিদিকে এত মৃত্যুর আকুত কন্ঠে অবশেষে নিজেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।  শুরু করেছিলেন প্লেগ বানানোর কাজ। তবে তিনি একা নন, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভগিনী নিবেদিতাও যোগ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের এই প্রয়াসে।

710

প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয়েছিল পর্যবেক্ষণ। চিকিৎসা, নার্সদের সঙ্গে নিয়েই চলত এই প্রক্রিয়া।

810

এতটাই ভয়াবহ হয়েছিল এই রোগ যে ১৯১১ সালে বাংলায় আর সেভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধিও হয়নি। 

910

অবশেষে ঠাকুর পরিবারে ঠুকে গিয়েছিল এই মারণ রোগ। প্লেগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেয়ে। মাত্র ১০ বছর বয়সেই তার মৃত্যু হয়েছিল।  গোটা ঠাকুর পরিবার সেই মৃত্যুযন্ত্রণা কাছ থেকে দেখেছিল।

1010

আজও সেই  কালো দিন। গোটা দেশকে গ্রাস করেছে করোনা নামের এক মারণ ভাইরাস। হাজারো প্রচেষ্টা করেও থামানো যাচ্ছে না তাকে। অবশেষে একটানা লকডাউনের পথে হেঁটেছে সরকার।করোনা আবহে এ  বছর কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান। তবুও বাঙালির জীবনে, বাঙালির মননে, বাঙালির হৃদয়ে চিরকালই উজ্জ্বল উপস্থিতি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।

click me!

Recommended Stories