লকডাউনে চার দেওয়ালের মধ্যে কীভাবে সামলাবেন বাচ্চাদের, রইল টিপস

করোনা আতঙ্কে লকডাউন গোটা রাজ্য। আবার একসঙ্গে বহুদিন পর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন অনেকে। তবে ছোটদেরও সারাদিন ঘরের মধ্যে বন্দী অবস্থায় রাখা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। তার জন্য অফিসের কাজ থাকলেও সব দিক সামাল দিতে হবে আপনাকেই। ঘরে ছোটদের সামলাতে সবার আগে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে কিছু বিষয়। প্রথমেই মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। আর একটা রুটিন সেট করে নিন, কখন কী করবেন। তাই আপনার সুবিধার জন্য রইল ঘরের খুদেদের কোয়ারেন্টাইনে সামলানোর কিছু জরুরি টিপস।

deblina dey | Published : Mar 25, 2020 7:05 AM IST / Updated: Mar 25 2020, 12:39 PM IST

111
লকডাউনে চার দেওয়ালের মধ্যে কীভাবে সামলাবেন বাচ্চাদের, রইল টিপস
সুন্দর সুন্দর ব্রেকফাস্ট- সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাত-মুখ ধুয়েই পড়া পড়া করবেন না। এতে বাচ্চাদের দিনের শুরুটাই মন খারাপ থেকে হয়। আগে তাদের মন ভালো করার জন্য সুন্দর সুন্দর ব্রেকফাস্ট বানিয়ে দিন। এমন বহু পুষ্টিকর ও সহজে বানানো যায় ব্রেকফাস্টের হদিশ আমাদের লাইফস্টাইলের মধ্যে রেসিপি সেকশনে পেয়ে যাবেন।
211
রুটিন মেনে পড়তে বসানো- ব্রেকফাস্ট সারা হলে এরপর ছোটদের নিয়ে পড়াতে বসান। এই সময়টা খুব জটিল একটা সময় বাচ্চা খুব বায়না বা কান্নাকাটি করলে আপনি তাকে নিয়ে বাইরেও বেড়োতে পারবেন না। তাই তাদের চট করে বকাবকি বা মারধোর করবেন না। এটা আপনাকেই বুঝিয়ে বলতে হবে। প্রতিদিন স্কুল বন্ধ থাকলেও নিয়ম মেনে পড়তে বসাতে হবে। নাহলেও তাদের পড়তে বসার অভ্যাস চলে যাবে।
311
ইনডোর গেমস- পড়াশুনোর পরে তাদের নিজের মনের খুশির মতো খেলতে দিন। ছোটদের খেলনাগুলো আগে থেকেই ভালো করে পরিষ্কার করে রাখুন। তারা যা খেলতে ভালোবাসে তাই খেলতে দিন। প্রয়োজনে ওদের সঙ্গে আপনিও সঙ্গে দিন। এতে ওরা ভীষণ খুশি হবে। লুডো, দাবা, ক্যারাম এমন বহু ইনডোর গেমস রয়েছে যা আপনিও ওদের সঙ্গ দিতে পারবেন।
411
অনলাইন ক্লাস- যাদের এই মুহূর্তে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে স্কুলের পড়া নেই। তারা এই সময় অনলাইনে ক্লাস করুন। এই এক মাস নষ্ট না করে উল্টে কাজে লাগান। এমন বহু ছোট ছোট ক্লাসেরও অনলাইনে পড়ানোর সাইট রয়েছে। সেগুলির খোঁজ খবর নিয়ে আপনিও ছোটদের সঙ্গে শুরু হয়ে যান ক্লাস করার জন্য। এতে অনেক নতুন কিছু শেখার সম্ভাবনা বাড়বে। আর পড়ার প্রতি মনোযোগও বাড়বে।
511
টিভি তে বাচ্চাদের শো- অবসর সময়ে অবশ্যই তাদের মত করে সময় কাটাতে দিতে হবে। তা সে কার্টুন দেখে হোক বা টিভিতে বাচ্চাদের যে শোগুলি হয় সেগুলি দেখে হোক। তাকে তার নিজের মত করে বড় হতে দিন। তবে এত সবের মধ্যেও বারে বারে হাত ধুয়ে দেওয়ার কথা ভুললে চলবে না।
611
দুপুরে ঘুম- দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে নিয়ম করে একদম বিশ্রাম। সেই সময় কোনও টিভি দেখা বা মোবাইলে গেম খেলা নয়। কারণ বিশ্রামটা আপনারও প্রয়োজন। প্রয়োজনে ছোটদের কে গল্পের বই পড়ে শোনান। বা ঠিক উল্টোটাই করুন ওদের-কে পড়তে দিন।
711
বিকেল সময় কাটান অন্যভাবে- বিকেল বেলায় বাড়ির ছাদে যাওয়াই যায়, তবে একান্তই যদি বাড়ির বাইরে বেড়োতে না চান তবে ছোটদের সঙ্গে আনন্দ করুন। গান চালিয়ে নাচ বা মিউজিক্যাল চেয়ার খেলুন। একটা কথা ঘরে বন্দী থাকতে কারও ভালো লাগে না তাই ওদের খুশি রাখার চেষ্টা করুন।
811
সন্ধ্যেবেলা খাবার- জলখাবারে হালকা কিছু খাবার দিন। এই সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখেই সবকিছু করতে হবে। তাই বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। বাড়িতেই সন্ধ্যেবেলায় হালকা টিফিন করে নিন।
911
পড়াশুনো- আবার নিয়ম করে রাতে পড়াতে বসান। যেই সময় আপনার কাজ থাকবে সেই সময় ওকে আগের পড়ানো বিষয়গুলি লিখতে দিন। তাতে ওর প্রাকটিস ও হয়ে যাবে আর পড়াটা ভালো মনেও থাকবে। আর হাতে সময় থাকলে নতুন কিছু শেখানো শুরু করুন।
1011
রাতে টিভি দেখান- রাতে পড়া হয়ে গেলে আবারও ওকে ওর মত সময় কাটাতে দিন। তবে টিক শুতে যাওয়ার আগে বেশি টিভি দেখা ভালো নয় এটাই মনে রাখতে হবে।
1111
করোনা নিয়ে জ্ঞান- ঘুমোনোর আগে আপনারও নিশ্চয়ই মোবাইল ঘাটার অভ্যাস রয়েছে। এই অভ্য়াসটি কাজে লাগান। মোবাইলে করোনা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি ছোটদের জানান। যাতে তাঁদের এটা কখোনই মনে না হয় যে ওকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে ঘরে আটকে রেখে। বরং যেটা হচ্ছে তা ওর বা দেশের ভালোর কথা ভেবেই করা হচ্ছে।
Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos