তিনটি শ্লোক যা দিন-রাত আওড়ালে মিলতে পারে শিব-এর আশীর্বাদ
আচার-আচরণে এক্কেবারে রাগি-খামখেয়ালি-ভিখারি। ছাই-ভস্ম মেখে বসে থাকাতেই তাঁর আনন্দ। নেশার কলকেতে বুঁদ হয়ে নন্দী-ভিঙ্গির সঙ্গে মজে স্ত্রী পার্বতী-কে গালিগালাজ। কিন্তু, এহেন মানুষের মনটাও সাংঘাতিক ভালো। কারোর খারাপ দেখতে পারেন না। সকলেরই মঙ্গল চান। তাই তাঁর নাম ত্রিকালদর্শী। এহেন শিব-কে তুষ্ঠ করতে উঠে পড়ে লাগেন ধর্মপ্রাণারা। এই শিবকে নিয়ে রয়েছে এমন তিনটি শ্লোক যা আওড়ালে তিনি খুশি হন।
এই শ্লোকের বাংলা অনুবাদ- আমি পাঁচমুখের একটিকে পূজিত করি, যার ভবানী রয়েছে (বিশ্বের মা বলে পূজিত তিনি) তার স্ত্রী-র জন্য, পর্বতের ভগবান, সমস্ত ছোট দেবাদি-দেব যেমন গণেশ, এঁদের ভগবান বলেও পরিচিত, ঠোঁটে নীলের আভা, যাঁড়ের পিঠে অধিষ্ঠিত, যাঁর আচার-আচরণ সমস্ত গুণকেও ছাপিয়ে যায়, যে কোনও বস্তুর সৃষ্টি তাঁর অংশ থেকে, যার চেহারাটা সারারক্ষণ ছাই-ভস্মে মাখা থাকে।
এই শ্লোকের বাংলা অনুবাদ- আমি বিশ্বপিতাকে আরাধ্য করি, ভগবান শিব এবং মাতা পার্বতী, যেমন কথার সঙ্গে জ্ঞানকে আলাদা করা যায় না, তেমনি শিব ও পার্বতী-র সম্পর্কেও আলাদা করা সম্ভব নয়, এই শ্লোকে কালীদাস তাঁর দেব-দেবী হিসাবে পরিচিত মহাদেব ও পার্বতী-র কাছে অনুরোধ রেখেছেন যাতে তাঁকে কথা ও জ্ঞানের ফারাকের মানেটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এই শ্লোকের বাংলা অনুবাদ- ধবধবে সাদা যেন চারিদিকে জ্যোতির নির্গমন হচ্ছে, করুণা-র এক অমোঘ দৈব আকর্ষণ , বিশ্বচরাচর জুড়ে তাঁর ব্যপ্তির একটা অনুভূতি, যার গলার মালাটা যেন বলে দেয় তিনি এই চরাচরের প্রতীক, হৃদয়ের অন্তরে যে পদ্মফুলটা ফুঁটে থাকে সেখানেই তাঁর বাস, আমি শিব এবং শক্তি-কে একসঙ্গে নতমস্তকে অভিবাদন জানাই।