আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ, পাকিস্তানে গেল ২০ সদস্যের তালিবান প্রতিনিধি দল

Published : Aug 24, 2020, 09:31 PM ISTUpdated : Aug 25, 2020, 04:14 PM IST

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কিছুটা হলেও কোনঠাসা পাকিস্তান এবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ কয়েছে। সোমবারই জাতি সংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের নিষেধাজ্ঞাগুলি কার্যকর করার জন্য আমন্ত্রণ জানায় তালিবান নেতাদের। আর সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতি সংঘের মনোনীত এক নেতা। অশান্ত আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনাই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল। কাতার হয়ে ২০ সদস্যের তালিবান প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে পাকিস্তানে। আর সেখানে প্রশাসনিক ও সামরিক আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করবেন। তবে কোন কোন ব্যক্তি বৈঠকে উপস্থিত থাকবে তা স্পষ্ট করে জানায়নি কোনও পক্ষই। তবে শান্তি প্রক্রিয়া ও উন্নয়ন নিয়েই আলোচনা হবে বলেও জানান হয়েছে। 

PREV
19
আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ, পাকিস্তানে গেল ২০ সদস্যের তালিবান প্রতিনিধি দল

আফগানিস্তানে রীতিমত সক্রিয় তালিবান জঙ্গিরা। আর এই আফগানিস্তানের জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিশ্বে রীতিমত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছেন ইমরান প্রশাসনকে। কিন্তু এবার সেই তকমা সরাতেই সদর্থক পদক্ষেপ করছে পাকিস্তান। 

29

তালিবার সহ প্রতিষ্ঠাতা ও দলের উপরাজনৈতিক প্রধান মোল্লা আদুল ঘানি বারাদর ও বেশ কয়েকজন তালিবান প্রতিনিধিকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসমাবাদর। একটি সূত্র বলছে বেশ কয়েকজন নেতা কাতারের দোহা থেকে ইসমাবাদ পৌঁছেছে। পাশাপাশি তারা প্রশাসনিক ও সামরিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করবে। 

39

পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রকের প্রকাশিত একটি নির্দেশে তালিবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের কয়েক জনের নাম ছিল। যাদেও ওপর নজরদারীর চালানোর নির্দেশ রয়েছে। ওই সব নেতাদের ভ্রমণ ও সম্পত্তি ও অস্ত্র কেনার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 

49

তালিবান প্রতিনিধিদের যে দলটি বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছে সেবিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি দলের মুখপাত্র। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে মূলত শান্তি প্রক্রিয়া নিয়েই আলোচনা হবে। 

59

সদ্যই প্রায় ৫ হাজার তালিবানকে মুক্তি দিয়েছে আফগান সরকার। পাল্টা তালিবানরাও ১ হাজার মানুষকে মুক্তি দিয়েছিল। তারপরই আলোচনায় রাজি হয়েছে সংগঠনের সদস্যরা। মোট ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছে পাকিস্তানে। 

69

একটি সূত্র বলছে শান্তি প্রক্রিয়া অংশ হিসেবেই আফগানিস্তানের পাশাপাশই পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বসছে তালিবানরা। আলোচনার মূল বিষয় হল যুদ্ধবিরতি, নারীর অধিকার, সাংবিধানিক পরিবর্তন।

79

গত ফেব্রুয়ারিতেই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ২০ অগাস্ট থেকে তা কার্যকর করার কথা ছিল। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি। 

89

অন্যদিকে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে এইএটিএফ-এর খাঁড়া ঝুলছে পাকিস্তানের ওপর। আর সংস্থার নজরে নিজের স্বচ্ছভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে। 
 

99

তবে একটি সূত্র বলছে তালিবাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার রীতিমত বিরোধী ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপের কাছে কিছুটা হলেও মাথা নরম করে আলোচনা শুরু করেছে। 

click me!

Recommended Stories