২০টি ভাষায় গানের রেকর্ড কেবল তাঁরই, লতা মঙ্গেশকরের জন্মদিনে ফিরে দেখা সুরসম্রাজ্ঞীর সোনালী সফর
সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের নব্বইয়ে পা। ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ভরে উঠল শুভেচ্ছাবার্তায়। আজ সেই কালজয়ী গায়িকার জন্মদিনে ফিরে দেখা তাঁর গানের দুনিয়ার সফর। ১৯২৯ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। পণ্ডিত দিননাথ মঙ্গেশকরের মেয়ে, ফলে গানের জগতে তাঁর হাতে খড়ি হয়েছিল শৈশবেই।
Jayita Chandra | Published : Sep 28, 2019 10:18 AM IST / Updated: Sep 28 2019, 03:50 PM IST
লতা মঙ্গেশকরের বাবা ছিলেন এক জনপ্রিয় থিয়েটর অভিনেতা এবং সঙ্গীতশিল্পী। লতা মঙ্গেশকরের যখন বয়স মাত্র ১৩ বছর তখনই তিনি পিতৃহারা হন। এমনই সময় নবযুগ চিত্রপাট ছবি কম্পানির মালিক তাঁর পরিবারের দেখা শোনা করতেন। তিনি প্রথম লতা মঙ্গেশকরকে গানের জগতে নিয়ে আসেন।
১৯৪২ সালে প্রথম গান গেয়েছিলেন তিনি। সেই বছরই অন্যগানের সুযোগও আসে। নাতালি গানটি গেয়ে বেশ নাম অর্জন করেন তিনি। তাঁরপর সুযোগ আসে প্রথম হিন্দি গান গাওয়ার। ১৯৪৩ সালে দুনিয়া বদলদে তু গানটি দিয়ে শুরু হয় তাঁর বলিউড সফর।
১৯৪৫ সালে লতা মঙ্গেশকর মুম্বই চলে আসেন। সেখানে হিন্দু শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিক্ষা নেন তিনি। এরপর একে একে গানের সুযোগ আসতে থাকে তাঁর কাছে। বিনায়কের হাত ধরে একাধিক গান গাওয়ার পর আবারও আসে দুঃসংবাদ। ১৯৪৮ সালে মৃত্যু বরণ করেন বিনায়ক।
এমনই সময় শশধর মুখোপাধ্যায় ফিরিয়ে দেন লতা মঙ্গেশকরকে। জানান তাঁর গলা খুব সরু। এই সময় হায়দার বলে ছিলেন একটা দিন আসবে যেদিন লতাকে দিয়ে একটা গান গাওয়ানোর জন্য সকলেই তাঁর পায়ে পড়বে। আর হয়েছেও তাই।
কেবল গান গাওয়াই নয়। গান পরিচালনার কাজও করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। প্রথম ১৯৫৫ সালে রাম রাম গানটি পরিচালনা তিনিই করেন । তারপর মোট পাঁচটি গানের পরিচালনার ভার গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
চারটি ছবির প্রযোজক হিসেবেও ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। বাদল (১৯৫৩), জঞ্ঝার ( ১৯৫৩), কাঞ্চন গঙ্গা ( ১৯৫৫), লেকিন (১৯৯০)। এমন কোনও পুরষ্কার নেই যা তিনি তাঁর জীবনে অর্জন করেননি। দাদা সাহেব ফালকে, পদ্মভূষণ, ভারতরত্ন প্রভৃতি পালকই তাঁর মুকুটে বিরাজমান।