পুরুষদেরই কি কেবল 'স্বপ্নদোষ' হয়, এর সমাধান কি আদপেও সম্ভব, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হচ্ছে। সমাজের একটা প্রচলিত অংশের ধারণা রয়েছে যে স্বপ্নদোষের ফলে শরীর ভেঙে যায় এবং যার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই ঘটনায় বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নেই। গভীর ঘুমের মধ্যে এই স্বপ্নদোষে আপনা-আপনি বীর্যস্খলন হয়ে যায়। এই নিয়ে অনেকেরই ভুলভাল ধারণা রয়েছে, যার কোনও যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি নেই। স্বপ্নদোষ নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা, জেনে নিন বিস্তারিত।
স্বপ্নদোষের সমস্যায় হামেশাই ভুগে থাকেন পুরুষরা। ঘন ঘন স্বপ্নদোষ অনেকেরই হয়ে থাকে। পুরুষদের স্বপ্নদোষের কারণ হল হরমোন।
সমাজের একটা প্রচলিত অংশের ধারণা রয়েছে যে স্বপ্নদোষের ফলে শরীর ভেঙে যায় এবং যার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই ঘটনায় বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
গভীর ঘুমের মধ্যে এই স্বপ্নদোষে আপনা-আপনি বীর্যস্খলন হয়ে যায়। এই নিয়ে অনেকেরই ভুলভাল ধারণা রয়েছে, যার কোনও যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি নেই।
বয়ঃসন্ধির সময়কালে শরীরের মধ্যে নানারকমের পরিবর্তন ঘটে, দেখা যায় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। আর তখনই স্বপ্নদোষ দেখা দেয়। চিকিৎসকেরা বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবেই নিতে বলেছেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, যারা অতিরিক্ত পরিমাণে হস্তমৈথুন করেন তাদের ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষ বেশি হয়। সুতরাং হস্তমৈথুন কম করলে শরীর শান্ত থাকবে এবং বীর্যস্খলন কম হবে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ঘুমের মধ্যে যৌন উদ্দীপক স্বপ্ন দেখলেও এই সমস্যা হয়। আসলে পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসৃত বেশি হলেও এই সমস্যা হয়।
পুরুষদের স্বপ্নদোষের সমস্যা হয়েই থাকে। কারোর কারোর ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা একটু বেশি আবার কারোর ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ বার স্বপ্নদোষ হতে পারে।
তবে শুধু পুরুষই নয়, মহিলাদেরও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অতিরিক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।