সম্পর্ক হবে সুস্থ ও সুদৃঢ়, জেনে রাখুন ৫টি চাবি কাঠির বিষয়ে

প্রতিটি সম্পর্কেই থাকে দায়বদ্ধতা। আর সেই দায়বদ্ধতা এড়িয়ে চলতে শুরু করলেই সম্পর্কে সমস্যার শুরু। আর বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে সম্পর্ক নিয়ে সমস্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দিনের পর দিন ছোটখাটো বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে বেড়েই চলেছে সমস্যা। একটা সমস্যা কাটিয়ে ওঠার পর দুদিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে অরেকটি নতুন সমস্যা। যে কোনও একটি সম্পর্ক শুরুতে ভালো থাকলেও, কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হয়ে যায় সমস্যা। আগে যে বিষয়গুলি হাসির ছলেই মিটে যেত এখন সেই একই বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করেই তৈরি হচ্ছে ঝামেলা, অশান্তি। তবে সম্পর্ক সুরক্ষিত রাখতে এই পাঁচটি নিয়ম অবশ্যই পালন করা উচিত। সম্পর্ক অটুট রাখতে জেনে রাখুন এই পাঁচ টোটকা।

deblina dey | Published : Feb 3, 2021 7:53 AM IST

110
সম্পর্ক হবে সুস্থ ও সুদৃঢ়, জেনে রাখুন ৫টি চাবি কাঠির বিষয়ে

যোগাযোগ- সম্পর্কে যোগাযোগের সর্বাধিক গুরুত্ব রয়েছে। অনেক দম্পতি যখন রেগে যান বা কোনও অশান্তি হয় তখন অনুভূতিগুলি দমন হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই কথা বলা বন্ধ করে দেন। এটি একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত। পরিবর্তে সমস্যাগুলি কথা বলে সমাধান করার প্রয়োজন। যোগাযোগ একটি সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি প্রস্তর।

210

আপনি একে অপরের সঙ্গে যত বেশি যোগাযোগ করবেন আপনি একে অপরকে বুঝতে পারবেন এবং আপনার সম্পর্কটি তত উন্নত হবে। আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনার চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলি যত বেশি শেয়ার করবেন ততই ভুল বোঝাবুঝি কমতে থাকবে। যোগাযোগ একটি সুখী সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি। যোগাযোগ বা কমিউনিকেশন সব সমএকটি সম্পর্ককে মজবুত করতে সাহায্য করে।

310

সততা- সম্পর্কে সচ্ছ্বতা থাকা বা সৎ থাকা খুব প্রয়োজন। এই সুক্ষ্ম জায়গায় চিড় ধরলে সহজেই একটি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। আপনার সঙ্গীর প্রতি মনোনিবেশ করা এবং তার মনের কথা শুনে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মনোযোগ সঙ্গীর উপর এক বিশেষ প্রভাব সৃষ্টি করে। তার মনের মধ্যে কী চলছে এবং প্রতিদিন তার জীবনে কী ঘটছে তা আপনি যখন শুনবেন তখন আপনি তাকে আরও ভালভাবে জানতে পারবেন। 

410

এর ফলে এটি একটি সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করবে।  আপনাকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে। এটি তাকে সম্পর্কে সুরক্ষার অনুভূতিও দেবে কারণ সে আশ্বস্ত হবে যে তার কথা শোনার জন্য এবং তাদের অনুভূতিগুলি বোঝার জন্য আপনি সর্বদা উপস্থিত। 

510

আত্মমর্যাদা- যে কোনও সম্পর্কের গুরুত্ব তখনই বাড়ে যখন আপনি নিজেকে ভালোবাসতে পারবেন। যে মানুষ নিজেকে ভালবাসতে জানেনা, সে কখনই অপরকেও ভালবাসতে পারবে না। আর পাশাপাশি প্রয়োজন আত্মমর্যাদা বোধ। 

610

তবে একে একে অনেকেই ইগো বা অহং-এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। সম্পর্কে এই বিষয়টি না থাকাই শ্রেয়। মনের মধ্যে থাকা ছোটখাটো দ্বন্দ্ব ও জিজ্ঞাসা বা চাহিদার থেকেই সমস্যাগুলির শুরু হয়। তাই আত্মমর্যাদা বোধ থাকাটা খুবই প্রয়োজনীয়।
 

710

স্পেস- জোড় করে আপনি কাউকে আটকে রাখতে পারবেন না। আর সম্পর্কের বাইরেও আপনার নিজস্ব একটা জগৎ আছে। নিজেকে বেশি করে সময় দিন আর সঙ্গীকেও তার নিজের মত করে সময় কাটাতে দিন। জীবনে চলার পথে সব সময় দুটো মানুষের আলাদা আলাদা জগত থাকে। সম্পর্কে আছে বলে সব সময় আপনাকেই সময় দিতে হবে এই দাবী করা উচিত নয়। 

810

এতে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গীর মতামত গুরুত্ব দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার মতামতটিও সঙ্গীকে বোঝান, এভাবেই একটি বিষয়ে মিলেমিশে দুজনে জীবনের কঠিন সিদ্ধান্তগুলি নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে সম্পর্কও ভালো থাকবে, দুজনের গুরুত্ব দুজনের কাছে সমান থাকবে। 

910

সম্মান- আপনার সঙ্গীর স্বতন্ত্রতার সম্মান করা সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকেই আছেন যারা তাদের সঙ্গীর সমালোচনা করেন। তার অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং একে অপরকে পরিবর্তনের চেষ্টা করে। এটি সম্পর্কে ফাটলের সৃষ্টি করে।

1010

একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুখী সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য, অবশ্যই তার সঙ্গীর নেওয়া মতামত এবং সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে জানতে হবে। আপনিই সিদ্ধান্তই সঠিক আর তারটা ভুল এটা হলে কোনও সম্পর্কই টিকবে না।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos