মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করেই সঙ্গমে মিলিত হয়েছে এক যুগল। এক পা এদিক ওদিক হলেই নিশ্চিত মৃত্যু। তারপরও ভয়ঙ্কর রোমান্টিক একাধিক মুহূর্ত হল লেন্সবন্দি। নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই যা ভাইরাল। কিন্তু এর পেছনে রয়েছে অন্য রহস্য।
Sudip Paul | Published : May 26, 2020 12:04 PM IST
এ যেন মৃত্যুকে হাতছানি। সুউচ্চ বিল্ডিংয়ের ছাদ। তার রেলিং উপর বসে এক তরুণ-তরুণি। আকাশে সোনালী আলোর ছটা। ঠিক এমনই দুর্গম জায়গায় বসে পরস্পরের ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছেন তারা। আর যুগলের সেই মুহূর্তকে লেন্সবন্দি করেছেন চিত্রগ্রাহক।
এক না একাধিকভাবে পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হয়েছেন ওই তরুণ তরুণি। তোলা হয়েছে সেই সকল ছবিও। দেখে মনেই হতেই পারে মৃত্যুর ভয়কে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে জীবনের আনন্দে মেতেছেন ওই যুগল। নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল সেই ছবি
আপাত দৃষ্টিতে দেখলে খুবই রোমান্টিক মনে হলেও। ঠিক নিচেই ওঁত পেতে রয়েছে মৃত্যু। একটু সচেতনতার অভাব হলেই, মৃত্যু নিশ্চিত। না তারা কোনও সঙ্গমে মিলিত হননি। এটা একপ্রকার স্টান্ট গেম। নাম পার্কো। আর ওই তরুণ-তরুণি পার্কোর অ্যাথলিট। কিন্তু ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিপাকে পড়লেন যুবক-যুবতী। অশালীন ছবি পোস্টের দায়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।
পার্কোর খেলাটির জন্ম ৯০-এর দশকে ফ্রান্সে। যেখানে দুর্গম স্থানে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন স্টান্ট শেখানো হয়। বিশেষ করে শহরের উঁচু বিল্ডিংয়ের ছাদের একেবারে শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে স্টান্ট করতে হয়। এই স্পোর্টস তেহরানেও বেশ ভালই জনপ্রিয়। সে ছবিই ধরা পড়েছে ইরানের বিখ্যাত পার্কোর অ্যাথলিট আলিরেজার পেজে চোখ রাখলে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে ছাদের পাঁচিল থেকে শূন্যে পা ঝুলিয়ে ভয়ংকর পজিশনে বসে চুম্বনরত যুগল। এছাড়াও নিজের অন্যান্য সতীর্থদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের স্টান্ট করেন আলিরেজা।
ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিগুলি পোস্ট করার পর থেকে অনেকেই তাঁদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। কিন্তু দেশের আইনের চোখে তাঁরা হয়ে উঠেছেন ‘ভিলেন’। ধর্ম ও সংস্কৃতিকে তোয়াক্কা না করে এমন ছবি পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আলিরেজা ও তার স্টান্ট পার্টনারকে।
গত সোমবার আলিরেজাকে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও তাঁর সঙ্গীর হাতে হাতকড়া পড়ে বৃহস্পতিবার। তবে তাঁদের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে নেটদুনিয়া। অনেকেই লিখেছেন, পার্কোর অ্যাথলিটরা তো কোনও অপরাধমূলক কাজ করেননি। তাই এভাবে তাঁদের কারাবন্দি রাখা অনুচিত। অনেকেই তাঁকে মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।