কাজের চাপে, কিংবা ব্যস্ততার মাঝে খানিকটা স্বস্তির খোঁজে বেরিয়ে পড়া, এমনই পরিস্থিতিতে তালিকাতে রাখুন ভুটান ট্রিপ। পাহাড়ের এ যেন এক অন্যরূপ। কোনও রকমের ভিসা পাসপোর্ট ছাড়াই ঘুরে ফেলা যায় ভুটান। তাই দেখে নেওয়া যাক, ভুটান ভ্রমণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
Jayita Chandra | Published : Feb 4, 2020 1:38 PM IST / Updated: Feb 04 2020, 07:09 PM IST
ভুটান সফরে যেতে কোনও পাসপোর্ট প্রয়োজন হয় না। ফুলসেলিং-এ ঢুকে স্পেশাল পার্মিশন করাতে হয় এই ট্রিপের জন্য। পার্মিশনের জন্য লাগে দুটি ছবি ও ভোটার কার্ড।
মূলত দুই নদীতে ঘেরা ভুটান এক ভিন্নস্বাদের পাহাড়ি দেশ। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, স্থানে স্থানে চাষের জমি, নানা রঙে ভরিয়ে রাখে দেশটিকে।
অনুমতি বা ছাড়পত্র মেলা মানেই কেবল মাত্র ঘুরতে পাড়া দুটি জায়গায়, থিম্পু ও পারো। এছাড়া অন্যত্র যেতে হলে লাগে বিশেষ অনুমতি। যারমধ্যে অন্যতম হল চেলেল্লা হা।
চেলেল্লা হা-তে বরফ দেখতে পাওয়া মায় সবসময়। ভুটার এসার আদর্শ সময় হল অক্টোবর থেকে মে। বৃষ্টির সময় না আসাই ভালো।
এখানে লোক সংখ্যা ভিষণই কম। যার ফলে নিস্তব্ধ এক স্বর্গীয় শান্তি এখানে বিরাজ করে। ভুটান যেতে হলে ট্রেন, গাড়ি বা বিমানেও যাওয়া যেতে পারে।
এখানে মিলবে ট্রেকিং-এর সুখও। টাইগার নেস্টে চরতে ঘোড়া থাকে, অনেকেই পায়ে হেঁটেও উঠে থাকেন। এই ট্রেকটি করতে সময় লাগে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা।
থিম্পু ভুটানের রাজধানী। এখানের পরিবেশ বেশ জমকালো। সামনেই মার্কেট। তবে জিনিসের দাম বেশ খানকিটা বেশি। খাবারের ক্ষেত্রেও ছবিটা এক।
সারা বছরই ভুটানে পর্যটদের ভিড় থাকতে। ভুটান ভ্রমণে সময় লাগে ছয় রাত্রী সাত দিন। মাথা পিছু খরচ আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা।
শীতের সময় ভুটানে গেলে দোচুলা পাসে মিলতে পারে তুষার পাতের অভিজ্ঞতা। ভুটানে বরফ পরার মাত্রা এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে বরফের দেখা মেলে পারোতে।
এখানের আর্কিটেকচার ও পোশাক দুই বেশ নজর কাড়ে। অন্যান্য পাহাড়ি অঞ্চলের থেকে যা অনেকটাই আলাদা। আর বিমানে করে পারো পৌঁচ্ছনোর অভিজ্ঞতা সেরার সেরা।