Winter Travel- অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন, তবে এবার ভ্রমণ তালিকায় রাখতেই পারেন কালিম্পং
কালিম্পংয়ের মর্গ্যান হাউস হন্টেড হিসেবে বেশ পরিচিত। গ্রীষ্মকালে বসবাসের জন্য ১৯৩০ সালে পাহাড়ের উপরে একটি বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেন জর্জ মর্গ্যান এবং তার স্ত্রী। নিজেদের পদবীর সঙ্গে মিলিয়ে তারা বাড়ির নাম দেন মর্গ্যান হাউস।
Jayita Chandra | Published : Nov 11, 2021 10:35 AM IST / Updated: Nov 11 2021, 04:07 PM IST
এক ঘেয়ে পাহাড় ট্রিপ তো অনেক হল, এবার পাহাড়ই যদি দিয়ে থাকে অন্যস্বাদ। তাহলে বিষয়টা মন্দ হবে না। হাতের কাছেই রয়েছে কালিম্পং। সেখানেই এবার ভূত বাংলো হতে পারে শীতের ভ্রমণ ঠিকানা।
কালিম্পং এক কথায় বলতে গেলে অনেকেরই ঘোরা। তাই সহজে খুব একটা এই স্থানে দ্বিতীয়বার যাবার কথা ভাবে না। কিন্তু খানিক অ্যাডভেঞ্চার বা নস্ট্যালজিয়াতে গা ভাসাতে এবার একটু অন্যস্বাদের ট্রিপ প্ল্যানিং করে ফেলা যেতেই পারে।
মর্গ্যান (Morgan) দম্পতি মারা যাওয়ার পর কোনো উইল না থাকায় ওই বাড়ি সরকারের (Goverment)হাতে চলে যায়। চারপাশে গাছ-গাছালিতে ভরা এ মর্গ্যান হাউসে অনেক সেলিব্রেটি প্রায়ই ছুটি কাটাতে আসতেন। উত্তমকুমার (Uttam Kumar), সুপ্রিয়াদেবী (Supriya Devi), কিশোরকুমার (Kishor Kumar), উৎপল দত্তদের (Utpal Dutta) প্রিয় জায়গা ছিল এটি।
তবে অনেকের মতে, মর্গ্যান হাউসে (Margan House) না-কি ভূত-প্রেতের দেখা মেলে। রাতে না-কি মর্গ্যান হাউসে কারা ঘুরে বেড়ায়। তাদের উপস্থিতি টের পাওয়া গেলেও দেখা মেলেনি কারো।
বাড়ির বাইরের লুক এক কথায় পোরো। কিন্তু ভেতর (Ghost) বাড়ি সুন্দর করে সাজানো। মাত্র ২০০০ টাকায় মিলবে বিলাশ বহুল ঘর। রাতের অন্ধকারে হালকা আলো ও মেঘের খেলায় শিহরণ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
তাই অনেকেই পছন্দের তালিকাতে রেখে দেন এই বাংলোকে। ভুতের দেখা বা ভুতের উপদ্রপ না হলেও অনেকেই বেশ সমঝে থাকেন এই বাংলো থেকে।
কিছুটা এগিয়ে গেলেই পড়ে একটি মিলিটারি ক্যাম্প। সেই জায়গার জন্যই জনশূণ্য থাকে এলাকাটা। তাই আরও বেশি রোমাঞ্চকর মনে হয় এই অঞ্চলকে।
জলপাইগুড়ি থেকে সরাসরি গাড়ি পাওয়া যায় মর্গান হাউসের জন্য। কলকাতা থেকে বুকিংও করে নেওয়া সম্ভব। তাই অ্যাডভেঞ্চার যাঁদের পছন্দ, তাঁরা ভ্রমণ তালিকাতে এই বাংলোর নাম রাখতেই পারেন। এক ভিন্ন স্বাদের ট্রেপ, যা সারা জীবন স্মৃতিতে রয়ে যাবে।