সামনেই শীতের ছুটি। লম্বা একটা ট্রিপ প্ল্যান অনেকেই করে থাকেন এই সময়। শীতের সময় পাহাড় নয়, মরুভূমি বা রাজস্থানের মত জায়গাই যেন অধিকাংশের কাছে আদর্শ হয়ে ওঠে। তাই এবার প্ল্যানিং করার আগে একটু সচেতনতার প্রয়োজন। রাজস্থান মানেই এক ভিন্নস্বাদের ভ্রমণ। যেখানে মিলবে দূর্গের দর্শন, মিলবে মরুভূমি ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। ভ্রমণ তালিকাতে থাকবে একাধিক জায়গা, যা অন্যান্য ভ্রমণের থেকে বহু অংশে আলাদা। রাজস্থান ভ্রমণের জন্য হাতে পাওয়া যায় মাত্র কয়েকমাস। নয়তো গরমের দাপটে নাজেহাল হতে হয় পর্যটকদের।
এখানে থাকতে গেলে বিভিন্ন ধরনের হোটেল থেকে শুরু করে মেলে দূর্গও। অ্যাডভেঞ্চারের জন্য থাকা যে তে পারে তাঁবুতেও।
210
এখানে হস্তশিল্পের পসার অনেক বেশি। স্থানীয় ফোকের স্বাদও গ্রহণ করা যেতে পারে। শীতের মরশুমে এই স্থানে রাতে বর্ণফায়ার ও সঙ্গে মরুদর্শনের ভিন্ন মজা।
310
রাজস্থান ভ্রমণের মধ্যে অতি অবশ্যই রাখতে হবে জয়পুর, জয়সলমির ও উদয়পুর। সঙ্গে রাখা যেতে পারে চিত্তোরগড়। রাজস্থানের এটাই মূল কেন্দ্রবিন্দু।
410
রাজস্থান ট্রিপ করতে গেলে হাতে সময় রাখতে হবে বেশ খানিকটা। মোটের ওপর ১৫দিন বা তার বেশি। বিমান পথে গেলে ভালো, ট্রেন পথে গেলে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।
510
এখানের দেখার মধ্যে অন্যতম হল, জয়সলমিরের দূর্গ, নাক্কি হ্রদ, পদ্মিনী প্রাসাদ, পিছলা হ্রদ, হাওয়া মহল, যন্তরমন্তর, থর মরুভূমি প্রভৃতি।
610
রাজস্থান ভ্রমণের জন্য হাতে রাখতে হবে মাথাপিছু ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। হোটের গুণগত মান, খাবার ও গাড়ির ওপর নির্ভরশীল।
710
উটের পিঠে ওঠা থেকে শুরু করে হাতির পিঠে ভ্রমণ, এই স্থানে ভ্রমণের জন্য রয়েছে একাধিক রোম্যাঞ্চকর বিষয়। দেখা মিলতে পারে বন্য প্রাণীর।
810
বিমান, রেল ও সড়ক পথে পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে রাজস্থান। বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচের পরিমান ভিন্ন। রাজস্থান ভ্রমণ করতে বেশ খানিকটা পরিশ্রম হয়। তাই শরীর স্বাস্থ্য বুঝে এই ট্রিপ পরিকল্পনা করা উচিত। এই জায়গায় ঘুরতে গেলে অনেকটা পথ অতিক্রম করতে হয়।
910
রাজস্থান ভ্রমণের জন্য সেরা সময় হল অক্টোবর থেকে মার্চ। এরই মধ্যে রাজস্থান ভ্রমণ না করলে তা ভালো মত ঘুরে দেখা যায় না। বছরের অন্যন্য সময় গরমের দাপট থাকায় সুখকর হয় না।
1010
বিয়ের পর কোথাও একটা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং তো এখন অনেকেই করছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান হতেই পারে এক ট্রিপ প্ল্যানিং। কিন্তু যাওয়ার আগে অবশ্যই করোনা বিধি মানতে হবে।