দার্জিলিং বা সিকিমের কোলাহল নয় এবার পাহাড়ে ঠিকানা হোক কালিম্পং-এর ভূত বাংলো

হাতের কাঠে ভ্রমণের ঠিকানা মানেই জলপাইগুড়ি নেমে সেখান থেকে হয় দার্জিলিং নয়তো সিকিম। এই দুই ছাড়া অন্য কোনও ডেস্টিনেশনের কথা যেন চট করে সাধারণের মাথাতেই আসে না। অথচ অ্যাডভেঞ্চারই হোক বা শান্ত নিরিবিলি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই হোক, কালিম্পং-এর জুড়ি মেলা ভার। তার ওপর যদি যুক্ত হয় ভূত বাংলোর তকমা, তবে তো আর কথাই নেই... 

Jayita Chandra | Published : Jan 20, 2021 6:23 AM IST
18
দার্জিলিং বা সিকিমের কোলাহল নয় এবার পাহাড়ে ঠিকানা হোক কালিম্পং-এর ভূত বাংলো

কালিম্পংয়ের মর্গ্যান হাউস হন্টেড হিসেবে বেশ পরিচিত। গ্রীষ্মকালে বসবাসের জন্য ১৯৩০ সালে পাহাড়ের উপরে একটি বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেন জর্জ মর্গ্যান এবং তার স্ত্রী। নিজেদের পদবীর সঙ্গে মিলিয়ে তারা বাড়ির নাম দেন মর্গ্যান হাউস।

28

মর্গ্যান দম্পতি মারা যাওয়ার পর কোনো উইল না থাকায় ওই বাড়ি সরকারের হাতে চলে যায়। চারপাশে গাছ-গাছালিতে ভরা এ মর্গ্যান হাউসে অনেক সেলিব্রেটি প্রায়ই ছুটি কাটাতে আসতেন। উত্তমকুমার, সুপ্রিয়াদেবী, কিশোরকুমার, উৎপল দত্তদের প্রিয় জায়গা ছিল এটি।

38

তবে অনেকের মতে, মর্গ্যান হাউসে না-কি ভূত-প্রেতের দেখা মেলে। রাতে না-কি মর্গ্যান হাউসে কারা ঘুরে বেড়ায়। তাদের উপস্থিতি টের পাওয়া গেলেও দেখা মেলেনি কারো। 

48

বাড়ির বাইরের লুক এক কথায় পোরো। কিন্তু ভেতর বাড়ি সুন্দর করে সাজানো। মাত্র ২০০০ টাকায় মিলবে বিলাশ বহুল ঘর। রাতের অন্ধকারে হালকা আলো ও মেঘের খেলায় শিহরণ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। 

58

তাই অনেকেই পছন্দের তালিকাতে রেখে দেন এই বাংলোকে। ভুতের দেখা বা ভুতের উপদ্রপ না হলেও অনেকেই বেশ সমঝে থাকেন এই বাংলো থেকে। 

68

কিছুটা এগিয়ে গেলেই পড়ে একটি মিলিটারি ক্যাম্প। সেই জায়গার জন্যই জনশূণ্য থাকে এলাকাটা। তাই আরও বেশি রোমাঞ্চকর মনে হয় এই অঞ্চলকে।

 

78

জলপাইগুড়ি থেকে সরাসরি গাড়ি পাওয়া যায় মর্গান হাউসের জন্য। কলকাতা থেকে বুকিংও করে নেওয়া সম্ভব। 

88

তাই অ্যাডভেঞ্চার যাঁদের পছন্দ, তাঁরা ভ্রমণ তালিকাতে এই বাংলোর নাম রাখতেই পারেন। এক ভিন্ন স্বাদের ট্রেপ, যা সারা জীবন স্মৃতিতে রয়ে যাবে। 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos