তিন মাস আগেই মহামারির সতর্কতা পেয়েছিলেন, ঘনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ মুখ খুলতেই দারুণ চাপে ট্রাম্প

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই আসন্ন করোনভাইরাস মহামারি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চাঞ্চল্যকর দাবি তে গত জুন মাস পর্যন্ত হোয়াইট হাউসে কাজ এক শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ শোরগোল ফেলে দিলেন। এমনিতেই করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় তাঁর প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে সরব ডেমোক্র্যাটরা। এরমধ্যে ওই মার্কিন অর্থনীতিবিদের দাবিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চরম অস্বস্তিতে পড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

amartya lahiri | Published : Jul 19, 2020 7:36 AM IST / Updated: Aug 06 2020, 01:17 PM IST

16
তিন মাস আগেই মহামারির সতর্কতা পেয়েছিলেন, ঘনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ মুখ খুলতেই দারুণ চাপে ট্রাম্প

ওই মার্কিন অর্থনীতিবিদের দাবি অনুযায়ী ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর  মাসের শুরুতে যখন গোটা বিশ্বের কোথাও এই নতুন করোনাভাইরাস মহামারির লেশ মাত্র ছিল না, সেই সময়ই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের একটি দল মার্কিন প্রেসিডেন্টকে করোনাভাইরাস মহামারির মতো একটি মহামারি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছিল। এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসকে সতর্ক করে তারা ৪১-পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিল। কিন্তু তাঁদের সেই পরামর্শে কর্ণপাত করেননি ট্রাম্প।

 

26

অভিযোগকারী ওই অর্থনীতিবিদ হলেন টোডাস ফিলিপসন। তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের কাউন্সিল অব ইকোনমিক অ্যাডভাইজারস (সিইএ)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে ছিলেন। চলতি বছরের জুনে ফিলিপসন পদত্যাগ করে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার ভূমিকায় ফিরে এসেছেন। তার এক মাস আগে তিনি নিজেই কোভিড-১৯'এ আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

 

36

সম্প্রতি তিনি এক প্রথম সারির মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে দাবি করেছেন, কোভিড-১৯ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের প্রায় তিন মাস আগেই তাঁর দল 'হোয়াইট হাউসকে ফ্লু জাতীয় মহামারির প্রকোপজনিত বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছিল'। তারা বলেছিল, ভ্যাকসিন উদ্ভাবন না হলে এই মহামারি রোগে ৫ লক্ষ আমেরিকানের মৃত্যু হতে পারে। এবং মার্কিন অর্থনীতির ৩.৭৯ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে। এই ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল 'মিটিগেটিং দ্য ইমপ্যাক্ট অব প্যান্ডেমিক ইনফ্লুয়েঞ্জা থ্রু ভ্যাকসিন ইনোভেশন' নামে ওই প্রতিবেদনে।

 

46

টোডাস ফিলিপসনের মতো ট্রাম্প প্রশাসনের প্রাক্তন শীর্ষ অর্থনীতিবিদের এই দাবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত মহামারি রোধে তাঁর প্রশাসনের ব্যর্থতার দিকে আঙুল উঠলেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, 'করোনাভাইরাস মহামারি সম্পর্কে আগাম ধারণা করা বা প্রতিরোধ করা অসম্ভব ছিল'। বরং মহামারিটি সম্পর্কে চিন শুরুতে সব তথ্য দেয়নি বলে অভিযোগের নিশানা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকী, হু-এর উপর দোষ চাপিয়ে এই আন্তর্জাতিক সংস্থায় মার্কিন তহবিল প্রদান বন্ধ করে দিয়েছেন।  

 

56

কার্যক্ষেত্রে অবশ্য দেখা যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবিটি সত্যি নয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চিনের উহান শহরে এই করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঘটনাগুলি সনাক্ত করা হয়েছিল। ডিসেম্বরের শেষে নিশ্চিত হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এই ভাইরাল সংক্রমণ সম্পর্কে অবহিত করেছিল বেজিং। ফিলিপসনের অবশ্য অঙ্ক কষে এই মহামারির আগাম পূর্বাভাস দিয়েছিল তাদের ৪১ পাতার প্রতিবেদনে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর  মাসেই সেই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে। ফিলিপসন জোর দিয়ে বলেছেন তাদের প্রতিবেদনটি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত ছিল হোয়াইট হাউস।

 

66

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখনও কোভিড -১৯ রোগী ও এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই। ১৮ জুলাই পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫,৪৪,১৪৩। আর মৃত্য়ু হয়েছে ১,৩৭,৬৭৪ জনের।

 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos