একের পর এক কর্মসূচি মোদী-শাহ-নাড্ডাদের - বাংলায় কতটা সুবিধা দেবে বিজেপিকে

কামানের গোলা সাজাচ্ছে বিজেপি। আগামী দেড় মাসের মধ্যে রাজ্যে একেবারে মোদী-শাহ-নাড্ডাদের সভার সুনামি উঠতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করতে পারেন ২০টি সভা। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের করার কথা অন্তত ৫০টি করে সভা। আর এই সভাগুলির মধ্যে দিয়েই বংলার মানুষের মনে পরিবর্তনের বার্তা গেঁথে দেওয়া যাবে, এমনটাই আশা করছে রাজ্য বিজেপি। দেখে নেওয়া যাক,কতটা বাংলায় এই হেভিওয়েট নেতাদের সভা কতটা সুবিধা দিতে চলেছে বঙ্গ বিজেপিকে।

 

amartya lahiri | Published : Mar 13, 2021 1:56 PM IST
110
একের পর এক কর্মসূচি মোদী-শাহ-নাড্ডাদের - বাংলায় কতটা সুবিধা দেবে বিজেপিকে

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় শাসক দল তৃণমূলের ভয়ঙ্কর হিংসা দেখেছিল গ্রাম বাংলা। বিরোধী দল বিশেষ করে সিপিএম-এর স্থানীয় নেতা-কর্মিরা পড়ে পড়ে মার খেয়েছিলেন। মোদী-শাহ-জেপি নাড্ডারা বারবার করে এসে স্থানীয় কর্মীদের প্রতিরোধ গড়ার ভরসা জুগিয়েছেন। কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় থাকায়, সেই সরকারেরপ্রতিনিধিরা এসে বরাভয় দেওয়ায় মানুষ এখন অনেকটাই ভয়মুক্ত। আর তার লাভ পাচ্ছে বিজেপি।

210

প্রধানমন্ত্রী , কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বারবার করে রাজ্যে আসায় দলের নিচু স্তরের নেতা-কর্মিদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। এতদিন তাঁরা একটু দিল্লি থেকে দূরেই আছেন বলে মনে করতেন। কিন্তু, বিজেপির মূল নেতারা বাংলাকে এতটা গুরুত্ব দেওয়ায় ব্যাপক উৎসাহ বেড়েছে দলীয় কর্মীদের।

310

শুধু দলীয় কর্মীরাই নন, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বাংলায় এই ব্যাপক পরিমান সভার ফলে বিজেপি সম্পর্কে মনোভাব বদলাচ্ছে সাধারণ ভোটারদেরও। যে 'ডাবল ইঞ্জিন' সরকারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বিজেপি, মোদী-শাহদের বারংবার আগমনে, সেই ধারণা বাংলায় বিশ্বাসে পরিণত হচ্ছে। বাংলাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা, এমনটাই মনে করছে মানুষ।

 

410

বাংলায় পরিচয় ভিত্তিক রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের কথা মাথায় রাখলেও বলতে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্তরের বাঙালি নেতা এখনও তারা তুলে ধরতে পারেনি। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় সভাপতির ক্যারিশমাই মমতাকে পাল্লা দিতে পারে।

 

510

মতুয়া, নমসূত্র অধ্যূষিত এলাকাগুলিতে দারুণ চাহিদা অমিত শাহ-এর। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেমুখে সিএএ-র মতো আইন প্রয়োগ করে নাগরিত সুবিধা দেওয়ার কথা বললে তা যে আলাদা ভরসা জোগায়, সেটা বলাই বাহুল্য।

 

610

এই রাজ্যে বিজেপির তিন প্রধান তারকা প্রচারক - নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা - তিন জনেই দারুণ দক্ষ বক্তা। বাকচাতুর্যে সভার পর সভায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছেন তাঁরা। আর তাতে ক্রমেই পায়ের তলা থেকে মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল।

 

710

নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদদের স্তরের নেতারা রাজ্য়ে আসলে প্রশাসনের উপরও চাপ থাকে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদের উপর বারবারই পুলিশ-প্রশাসনকে দলের কাজে লাগানোর অভিযোগ করা উঠেছে। উল্টো দিকে হেভিওয়েট নেতা থাকলে, আর যাই হোক সহজে পুলিশের পক্ষে দলদাস হওয়া সম্ভব হয় না।

810

জনমোহিনী ক্ষমতায়য় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের কোনও তুলনাই নেই। দলীয় নেতা-কর্মীরা তো বটেই, সাধারণ মানুষও এই নেতাদের দেখতেই হাজির হয়ে যাচ্ছেন বিজেপির জনসভায়।

 

910

রাজ্যে আগত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁরা বহিরাগত। সত্যি বলতে এমনটা বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একটা অংশের মধ্যেও ছিল। কিন্তু, রাজ্যে বারবার করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের আগমনে তাঁরা ক্রমেই অন্তত কর্মীদের ঘরের লোক হয়ে উঠছেন। যা, বিজেপি পরিবারকে আরো মজবুত করছে।

 

1010

রাজ্যে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে মোদী-শাহ-নাড্ডাদের, বিশেষ করে অমিত শাহ-র অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার বিশাল। পশ্চিমবঙ্গে হাওয়া যখন একবার উঠেছে, তখন শেষ রেখা পার করার ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা রাজ্যের বিজেপি নেতা-কর্মীদের ভরসা দেবে।

 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos